হিজরি সনের অন্যতম ফজিলত ও মর্যাদার মাস শাবান। ২ হিজরির এ মাসেই বায়তুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে মসজিদুল হারামকে কেবলা নির্ধারণ করা হয়। এ মাসেই মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের আদেশসংবলিত আয়াত নাজিল হয়। এ মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ, যা শবে বরাত বা ভাগ্য রজনী হিসেবে প্রসিদ্ধ। তা ছাড়া, এ মাসে বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় মর্মেও বিশুদ্ধ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তাই ইসলামে শাবান মাসের গুরুত্ব অপরিসীম।
এ মাসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাসে রমজানের প্রস্তুতিপর্ব সম্পন্ন করতেন। এই দুই মাসে তিনি একটি দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতেন। তা হলো, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়াবাল্লিগনা রমাদান’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দিন।’ (আহমদ)
এই মাসে মহানবী (সা.) বেশি বেশি নফল ইবাদত করতেন। নফল রোজা পালনের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। এ মাসের অধিকাংশ দিন তিনি একটানা রোজা রাখতেন। কোনো কোনো হাদিসে পুরো মাস একটানা রোজা রাখার কথাও এসেছে। তবে তিনি সাহাবিদের টানা রোজা না রেখে বিরতি দিয়ে রোজা রাখতে উৎসাহ দিতেন। (বুখারি ও মুসলিম)
এ ছাড়া রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে শাবান মাসের তারিখের হিসাব রাখাও মহানবী (সা.)-এর অন্যতম সুন্নত। তিনি এরশাদ করেন, ‘তোমরা রমজানের জন্য শাবানের চাঁদের হিসাব রাখ।’ (সিলসিলাতুস সহিহা)
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি, মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া, পটিয়া, চট্টগ্রাম