সাতক্ষীরার তালার বাজারগুলোতে শাক-সবজি সরবরাহের কোনো কমতি না থাকলেও সেসবের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
তালা বাজারের ব্যবসায়ী সুমন আহম্মেদ, আলতাফ হোসেন, শেখ মফিজুল ইসলাম, তপন পাল জানান, মনে করেছিলাম শীতের মৌসুমে সবজির দাম কমবে। অথচ এখনো কমেনি। কিছু ব্যবসায়ীদের কারণে সবজি বাজার এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তাঁদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে আছি।
তালা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বিভিন্ন প্রকার সবজি উঠেছে। বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেড়শ, বরবটি, কুমড়া, কলাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি। কাঁচা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০-৫০ টাকায় কাঁচা পেঁপে ২৫ টাকায়। শিম ৪০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ৬০-৮০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ২০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ টাকা হচ্ছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খাসি ৭০০-৭৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই আকৃতিভেদে ১৬০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ৮০-১৬০, সিলভার কার্প ১০০-১৫০ টাকা, দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চালের বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজারে আসা ক্রেতা কামরুল সরদার বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। বাজারের দাম যে পরিমাণ বাড়ছে সেই অনুযায়ী আমাদের পরিমাণমতো বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না। বাজার শীতের সবজিতে সয়লাব। কিন্তু সে অনুযায়ী দাম কমেনি। এখন দেখছি আমাদের চাহিদা মেটানো দায় হয়ে পড়েছে।’
মনিরুজ্জামান বলেন, অনেক কিছু কিনতে মনে চাইলেও টাকার কথা চিন্তা করে কিনতে পারি না। প্রতিদিন বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।’
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বিভিন্ন সময় সরকারের নির্দেশনা থাকলে আমরা বাজার মনিটরিং করে থাকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিক্রেতাদের পণ্যের মূল্য লিখে দোকানে টানিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।’