ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনবাস রাজ্যের লুহানস্কে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল শুক্রবারও হামলা হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যে এসব হামলা নতুন উত্তেজনা তৈরি করছে। তবে ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে গত নভেম্বর থেকে চলমান সংকট সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
রয়টার্স জানায়, রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের অভিযোগ, ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী তাঁদের ওপর হামলা করছে। গত বৃহস্পতিবারের পর গতকালও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত একটি গ্রামে হামলা হয়েছে। সংকট সমাধানের কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যে এসব হামলা উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।
আল জাজিরা জানায়, বিদ্রোহীরাই লুহানস্কের একটি কিন্ডারগার্টেনে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। গতকাল সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১০টি গ্রামে অন্তত ৬০টি হামলার অভিযোগ করেছে দেশটি। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, সেনা প্রত্যাহারের ছলে যুদ্ধ শুরুর পাঁয়তারা করছে রাশিয়া। বাইডেনের মন্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ অভিহিত করেছে মস্কো।
সেনা প্রত্যাহার অব্যাহত
মহড়া শেষে ক্রিমিয়া থেকে নিজেদের আরও কিছু সেনা স্থায়ী সেনানিবাসে ফিরে গেছে বলে গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই অংশে অল্প অল্প করে সেনা, ট্যাংক ও অন্য সামরিক সরঞ্জাম প্রত্যাহার শুরু করে রাশিয়া। তবে মহড়ার জন্য ক্রিমিয়ায় ১০টি যুদ্ধবিমান নতুন করে মোতায়েন করেছে দেশটি।
কূটনৈতিক তৎপরতা
গতকাল জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, ‘জি-৭-এর সদস্যরা রাশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বসবেন।’
গতকাল থেকে জার্মানিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স’। এতে রাশিয়ার যোগ দেওয়ার বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ২০০৭ সালে এই কনফারেন্সেই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর অন্যায্য হস্তক্ষেপ নিয়ে নিজেদের আপত্তি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন ওই কনফারেন্সে অংশ নিয়ে ইউক্রেন সংকট নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। শিগগিরই তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরবের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। গতকাল দেশ দুটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদেরও ফোনালাপের কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও একটি ভিডিও বৈঠকের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই সব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।