হোম > ছাপা সংস্করণ

উদ্যানে খেলতে পারে না শিশু

বিকুল চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে শেখ রাসেল শিশু উদ্যানের জন্য জমি বরাদ্দ হয় ১৯৮৪ সালে। এর পর ১৯৮৫ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ গঠনের পর ওই জমির চার দিকে সীমানাপ্রাচীর তৈরি করা হয়।

তৈরি করা হয় বসার জন্য কিছু বেঞ্চ। এরপর ৩৭ বছর পার হলেও এখানে তৈরি হয়নি শিশুদের বিনোদনের জন্য কোনো কিছুই। এ বছর সরকার ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস ঘোষণা করেছে এবং গত ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস পালিতও হয়েছে। এখন শ্রীমঙ্গলবাসীর দাবি অবহেলিত শেখ রাসেল শিশু উদ্যানটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগুক। গড়ে তোলা হোক শিশুদের জন্য একটি দৃষ্টি নন্দন বিনোদন কেন্দ্র।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গলে শিশু পার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৮৪ সালে শহরের জয়নগর পাড়ায় ১.৭০ একর জমি নির্ধারণ করা হয়। জমিটি শত্রু সম্পত্তির অধীনে ছিল। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ গঠন হওয়ার পর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এর চারদিকে নির্মাণ করা হয় সীমানাপ্রাচীর। তৈরি করা হয় বসার জন্য কিছু বেঞ্চ। তখন এটি ছিল একটি নিচু জায়গা ছিল। এর পর এক পাশ থেকে মাটি খনন করে এর চার পাশ ভরাট করা হয় এবং নামকরণ হয় শেখ রাসেল শিশু উদ্যান।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত ৩৭ বছরে এর কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখন বাণিজ্য মেলা হয়। এর পরিত্যক্ত জায়গায় উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ কলেজের একটি ভবন নির্মাণ করেও চলে অনেক দিন পাঠদান। যে সীমানাপ্রাচীর তৈরি হয়েছিল রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাও। ভেতরে বসার বেঞ্চগুলো ভেঙে পড়ছে। গাছ ভেঙে পড়ে আছে। অন্যদিকে উদ্যানের একপাশে স্থানীয় জনগণ প্রতিদিন বাসা বাড়ির ময়লা ফেলছে।

শ্রীমঙ্গল সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত শুভ্র চক্রবর্তী বলেন, শ্রীমঙ্গলের মানুষ বাড়ছে। শিশুদের জন্য কোনো স্থাপনা নেই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এখানে বিভিন্ন গাছপালা রোপণ ও শিশুবান্ধব বিভিন্ন রাইডস স্থাপন করা যেতে পারে।

শ্রীমঙ্গল জনতা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সুমন বৈদ্য বলেন, এখানে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করা হয়। শিশুকিশোররা এখানে এসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং বৈশাখী মেলায় আনন্দ করে। কিন্তু এই জায়গার অবস্থা এতই খারাপ যে সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠ পানিতে ডুবে যায়।

উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়া বলেন, ১৯৮৪ সালে এই জমি দখলের চেষ্টা করছিল কিছু প্রভাবশালী। সে সময় সবার প্রচেষ্টায় এটি দখল মুক্ত করা হয় এবং শিশু পার্কের জন্য স্থানটিকে নির্ধারণ করা হয়।

আছকির মিয়া আরও বলেন, তিনি যখন দায়িত্বে ছিলেন, তখন সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দেন। এক পাশ থেকে মাটি কেটে অন্যপাশ ভরাটও করে দেন।

বঙ্গবন্ধু শিশুকিশোর মেলার মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি অনিরুদ্ধ দাশ টিটু বলেন, শ্রীমঙ্গল শেখ রাসেল শিশু উদ্যানকে শিশুদের উপযোগী করা এখন সময়ের দাবি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম বলেন, এই শিশু পার্কের জমি এক সময় শত্রু সম্পত্তি ছিল। এখন ডিসি খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর ভেতরে শিল্পকলা একাডেমির ভবন স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

ইউএনও আরও জানান, দ্রুত পার্কটি পরিদর্শন করবেন এবং এখানে শিশুদের জন্য উপযোগী কী কী কাজ করা যায় তার উদ্যোগ নেবেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ