যেকোনো কাজ সঠিকভাবে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য সেই কাজের যোগ্য ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত। কারণ, অযোগ্য লোকের হাত ধরে কাজটি সুচারুরূপে সম্পাদিত হওয়া তো দূরের কথা; বরং তা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে। এটি সর্বজনস্বীকৃত সত্য। যেকোনো বিষয়ে দক্ষ, বিশ্বস্ত ও যোগ্য ব্যক্তির হাতেই আমাদের কাজটি সম্পাদন করতে পছন্দ করি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, কখনো কখনো স্বার্থের কারণে আমরা এই নীতিকে পদদলিত করি। আত্মীয়তার টান, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার লোভ বা দলীয় স্বার্থে আমরা অযোগ্যদের দায়িত্ব দিয়ে বসি। এ কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত জঘন্য।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘অযোগ্য ব্যক্তির হাতে যখন দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে, তখনই কেয়ামতের জন্য অপেক্ষা করো।’ (বুখারি)
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু জর (রা.) একবার মহানবী (সা.)-এর কাছে প্রাদেশিক গভর্নর হওয়ার আবেদন জানালেন। মহানবী (সা.) হাত দিয়ে তাঁর বুকে মৃদু থাপ্পড় দিয়ে বললেন, ‘আবু জর, তুমি দুর্বল আর এটি মানুষের আমানত। কিয়ামতের দিন এটি মানুষের লজ্জা ও লাঞ্ছনার কারণ হবে। হ্যাঁ, দায়িত্বটা যে ভালোভাবে গ্রহণ করবে এবং অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন।’ (মুসলিম)
হাদিসের বিখ্যাত ভাষ্যকার ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘পদের আকাঙ্ক্ষা থেকে বেঁচে থাকার জন্য এটি অনেক বড় মূলনীতি। বিশেষত দায়িত্ব আদায়ে যাদের দুর্বলতা আছে, তাদের জন্য এখানে রয়েছে অনেক শিক্ষা।’ এ জন্য দায়িত্বশীল মহলের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এটি আমানতের বিষয়। এ বিষয়ে অবহেলা করলে আমরা খেয়ানতের অপরাধে অভিযুক্ত হব। এ ছাড়া এ নীতিটা পালন না করার ক্ষতিটা বহন করতে হবে সবাইকেই।
আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক