কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ধানের ক্ষতিকর পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। এতে কীটনাশক ছাড়াই ক্ষতিকর পোকা দমন করা সম্ভব। পার্চিং পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব এবং লাভজনক।
পাচিং সাধারণত দুই প্রকার। ডেড পাচিং ও লাইভ পার্চিং। মরা ডালপালা ও বাঁশের কঞ্চি জমিনে পুঁতে দিলে হয় ডেড পার্চিং, লাইভ পাচিং হলো জীবন্ত ধইঞ্চা গাছ জমিতে পুতে দিলে সেগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। ফলে এ পদ্ধতির মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার কমে আসে এবং ফসলের উৎপাদন খরচ কমে। পার্চিং ব্যবহারে বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব হয়। পোকার বংশবিস্তার কমানো যায়।
জগদল ব্লকের নান্দানিয়া গ্রামের কৃষক মো. রাসেল মিয়া জানান, পার্চিং ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকা দমন করা সহজ হয়েছে।
জগদল ব্লকের কর্মরত উপসহকারী কৃষি অফিসার মুদাসিল হায়দার আলমগীর বলেন, পার্চিং ব্যবহারের ফলে জমিতে রাসায়নিক সারের পরি মান কম লাগে এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা যায়। একটি ফিঙে পাখি সারা দিনে কমপক্ষে ৩০টি মাজরা পোকার মথ, ডিম, পুত্তলি খেয়ে থাকে। একটি পাখির দ্বারা প্রতি মাসে হাজার হাজার পোকা ধ্বংস করা সম্ভব।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, ধানের জমিতে ডালপালা পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করে দিলে ক্ষতিকর পোকামাকড় পাখি খেয়ে ফলে। ফলে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কমানো যায়। এটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি।