সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) কর্মকর্তাকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং ভেকু মেশিন ভাঙচুর করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সকালে ভাঙচুর ও কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর পওর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী। মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামের মো. আবদুল সাত্তার, উপজেলার চর নুরনগর গ্রামের মো. আবদুল মজিদ, একই গ্রামের মো. সুলতান আলী সেখ ও মো. আশরাফুল ইসলাম।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে উপজেলার চকনুরনগর গ্রামের পাশে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বাঙ্গালী-করতোয়া-ফুলজোড় ও হুড়াসাগর নদী পুনর্খননসহ তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। এ সময় আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীর নিয়োজিত ঠিকাদারের দুটি ভেকু মেশিন ভাঙচুর করেন।
এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে থাকা দুই সেনা সদস্য, দুটি ভেকু মেশিনের চালক ও সহকারী এবং ঠিকাদারের প্রতিনিধি মিলে তাঁদের বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা উপসহকারী প্রকৌশলী হায়দার আলীকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাপাউবোর সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর পওর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল ওহাব থানায় মামলা করেন।
কামারখন্দ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসানুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবদুস সাত্তারসহ চারজনকে আটক করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কামারখন্দ থানার ওসি হাবিবুল্লাহ বলেন, মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চারজনকে গতকাল শনিবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।