হিজলা উপজেলায় সরকারের দেওয়া ৫ একর সম্পত্তিতে নির্মিত জরাজীর্ণ আশ্রয়ণ প্রকল্প (গুচ্ছগ্রাম) বসতিশূন্য হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের খাগেরচর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছে ৭টি ব্যারাক, প্রত্যেকটি ব্যারাকে ১০টি পরিবার বসবাসের করার উপযোগী রুম রয়েছে।
জরাজীর্ণ ব্যারাকে কয়েকটি পরিবার বাস করলেও বাকি ব্যারাকগুলো ভেঙেচুরে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা সেই রুমগুলোতে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১ নম্বর ব্যারাকের একাধিক নারী জানান, নিজস্ব ভূমি নেই বলে সরকার এখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ধীরে ধীরে থাকার ঘরগুলোর টিন ও দেয়াল ভেঙে গেছে। প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন না।
৭ নম্বর ব্যারাকে থাকা আবদুল হামিদ হাওলাদার জানান, সরকার ১৯৯৯ সালের বন্যার পরে ভূমিহীনদের থাকার জন্য এ আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলে। তখন যাদের ওই এলাকায় ভূমি নেই তাঁদের থাকার জন্য সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক রশিদ চকিদার বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মেরামত করা হয়নি। এখানে থাকা প্রত্যেক সদস্যের নামে ৮ শতাংশ করে জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কিন্তু একটি চক্র অনেক ভূমিহীনের জমি প্রতারণা করে নিয়ে গেছে।
খাগেরচর গ্রামের ইউপি সদস্য হামিম মাতুব্বর বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পটি দীর্ঘদিন মেরামত না করার কারণে থাকার অনুপযোগী হয়ে গেছে। আমরা পরিষদ থেকে প্রশাসনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি পূর্ণ সংস্কার কিংবা মেরামত করার জন্য অনেকবার বলেছি।’
মেমানিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য ইউএনওকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে টিম এসে পরিদর্শনও করেছে। কিন্তু এখনো কোনো বরাদ্দ সেখানে হয়নি।’
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীনদের থাকার জায়গাটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’