ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সামনে রেখে গঙ্গাচড়ায় জমজমাট প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। বলা যায় প্রতিশ্রুতির জোয়ারে ভাসছে নির্বাচনী এলাকা।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে গঙ্গাচড়ার নয় ইউনিয়নে ভোট হবে ২৬ ডিসেম্বর। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীরা ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েন।
প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে এলাকার রাস্তা এবং সেতু-কালভার্ট উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বলছেন বাল্যবিবাহ ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে নেবেন কঠোর পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মন্দির সংস্কারে উদ্যোগী হবেন।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ইচলী গ্রামের ভোটার শহিদুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনী বৈঠক ও জনসংযোগে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধ, বন্যা থেকে বাঁচাতে বাঁধ নির্মাণ, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য সরকারি আবাসন সুবিধা, অসহায় দুস্থ পরিবারগুলোকে আর্থিক উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্তকরণ, অতি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ এবং চরাঞ্চলের রাস্তা পাকাকরণসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি।
তবে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতিতে খুব একটা ভরসা পাচ্ছেন না ভোটারেরা। গজঘণ্টা ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম বলেন, এ প্রার্থীদের অনেকেই আগে চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁদের কারও কারও মেয়াদে অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসের প্রসার ঘটেছিল। অনেকের প্রতিশ্রুতি কাল্পনিক মনে হচ্ছে, যা একজন চেয়ারম্যানের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়।
শুধু প্রতিশ্রুতি শুনেই ভোট দেবেন না বলে জানান গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের সোহাগী বেগম। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা, সততা, দক্ষতা, এসব গুণাবলিতে যাঁরা এগিয়ে থাকবেন তাঁদেরই আমি ভোট দেব। এমন প্রার্থী নির্বাচিত হলে তিনি নিজ স্বার্থের বদলে ইউনিয়নবাসীর ভালোর জন্য কিছু ভাববেন ও করার চেষ্টা করবেন। রাজনৈতিক দলের বিবেচনায় আমি ভোট দেব না। কেবল প্রার্থীদের যোগ্যতায় ভোট দেব।’