হোম > ছাপা সংস্করণ

হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে দখলের মহোৎসব

কদমতলী প্রতিনিধি

ময়লা-আবর্জনা, দোকান, গ্যারেজ—কী নেই মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশে। একটু রাত হলেই ফ্লাইওভারের নিচে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। অথচ ফ্লাইওভার চালুর সময় নিচের অংশ ঘিরে দেওয়া হয়েছিল জিআই তার দিয়ে। অবৈধ দখলদারেরা তার কেটে নিজেদের মতো গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

২০১০ সালের ২২ জুন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর এটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পলাশী থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার। ফ্লাইওভারটি বিভিন্ন প্রান্তে চারটি লেনে বিভক্ত। এর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে কয়েক হাজার যানবাহন।

ফ্লাইওভারের গুলিস্তান থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত নিচের অংশে জিআই তার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যাতে কেউ ভেতরে ঢুকতে না পারে। কিন্তু গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কুতুবখালীসহ অনেক অংশ বেদখল হয়ে গেছে। তারের বেড়া কেটে গড়ে তোলা হয়েছে কাঁচাবাজার, রিকশা-ভ্যানের গ্যারেজ ও চায়ের দোকান। এ ছাড়া যেখানেই খোলা রয়েছে, সেখানেই দখল হয়ে গেছে।

যাত্রাবাড়ী এলাকার অনেক স্থানে ফ্লাইওভারের নিচে প্রস্রাবের দুর্গন্ধে পথচারীদের চলাচল করতে হয় নাক চেপে। এ ছাড়া এখানে রয়েছে সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড়। পথচারী শহীদ বলেন, ‘দুর্গন্ধে আমাদের নাক চেপে চলতে হয়।’

এদিকে কুতুবখালী এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচের বড় একটি অংশ দখল করে রিকশা-ভ্যানের গ্যারেজ বানিয়েছেন নুরু হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এই গ্যারেজে প্রতিদিন প্রায় এক শ ভ্যান রাখা হয়। গ্যারেজের মালিক নুরু হোসেন বলেন, ‘এটা অন্যায়। কিন্তু কী করব। এখানকার আয় দিয়ে কোনোরকমে পরিবার নিয়ে খেয়েপরে বেঁচে আছি। তবে এটা বাদ দিয়ে দেব।’

অন্যদিকে ফ্লাইওভারের নিচে বেড়ার ভেতরের অনেক জায়গায় মাটির স্তূপ দেখা যায়। ধুলোবালিতে হারিয়েছে এর আগের রূপ। এ ছাড়া রাত হলেই বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। এ ব্যাপারে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আলমগীর বলেন, শুরুতে ফ্লাইওভারের নিচের অংশ খুব সুন্দর ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন এর জৌলুশ হারিয়েছে। তবে এর নিচে ফুলগাছ লাগালে এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং দখলমুক্ত হবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ডিএসসিসির মেয়র ফ্লাইওভারের নিচের অংশ পরিদর্শন করেছেন। পরে কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেবেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ