তাঁদের দল খুলনা টাইগার্স ব্যর্থ হয়েছে প্লে অফে উঠতে। দলের ব্যর্থতা তো আছেই। এবারের বিপিএলে নিজেদেরও ঠিকঠাক মেলে ধরতে পারেননি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ইয়াসির আলী রাব্বি। অথচ জাতীয় দলে ফিরতে বা নিজেদের জায়গা পোক্ত করতে এই বিপিএল হতে পারত তাঁদের কাছে বড় মঞ্চ।
সাদা বলে বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা হিসেবে প্রায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাইফউদ্দিন। নিজেকে অনেক দিন ধরে হারিয়ে খুঁজছেন তিনি। খুলনার হয়ে ৬ ইনিংসে ৮৮.৬০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৭০ রান। নিজেদের শেষ ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ৪ উইকেট নেওয়ায় পর তাঁর শিকার ১২টি। কদিন আগে খুলনার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, ‘যে সাইফউদ্দিনকে চিনি, তার কাছ থেকে ২০-৩০ শতাংশ পেয়েছি। একটা ছেলের খারাপ সময় যায়, আশা করি সে ফিরে আসবে।’
নিজের ফর্ম নিয়ে দুই দিন আগে আজকের পত্রিকাকে সাইফউদ্দিন বলছিলেন, ‘তিনি ২০-৩০ শতাংশ বেশি বলেছেন। আমি নিজেকে নিজে মূল্যায়ন করলে, খুলনাকে ১০ শতাংশ দিয়েছি বলেও মনে হয় না! আমি নিজেই হতাশ আমার পারফরম্যান্স নিয়ে। এটা নিয়ে আসলে কোনো অজুহাতের সুযোগ নেই।’
কেন এই পারফরম্যান্স, সেটির ব্যাখ্যায় দার্শনিক মন্তব্যই করলেন সাইফউদ্দিন, ‘জীবন সব সময় একরকম যায় না। কখনো গাড়ি জোরে চলবে, কখনো নষ্ট হয়ে চলবেই না। আবার ঠিক হয়ে সামনের দিকে যাবে।’
সাইফউদ্দিন তবু একটা জায়গা করে নিতে পেরেছেন জাতীয় দলে। রাব্বি এখনো পায়ের তলায় মাটি খুঁজছেন। বিপিএলে ১০ ইনিংসে ২২৬ রান করা খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক সরাসরি স্বীকার করে নিচ্ছেন, ‘এই পারফরম্যান্সে আমি একেবারেই খুশি নই।’ তবে খারাপ সময়কে ইতিবাচকভাবেই নেওয়ার চেষ্টা তাঁর। বলছেন, ‘ভালো-খারাপ সময় আসবে। যখন খারাপ সময় যায়, তখন নেতিবাচক দিক থাকে। তবে ওই সময় আমাদের ইতিবাচক থাকতে হয়। মানসিক ইতিবাচক যে জায়গা আছে, ওখানে থাকাই আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’