হোম > ছাপা সংস্করণ

গণটিকা নিতে গাদাগাদি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশের মতো মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। মৌলভীবাজারে ১১৭টি কেন্দ্রে ও সুনামগঞ্জের ১০৭টি কেন্দ্রে চলে টিকা কার্যক্রম। টিকা নিতে ভিড় করেন গ্রহীতারা। এ সময় গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেন তাঁরা। অনেকে মানেননি স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পৌরসভার আয়োজনে পৌর জনমিলনকেন্দ্রে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ নেছার আহমদ।

জেলায় পাঁচটি পৌরসভা ও ৬৭টি ইউনিয়নের ১১৭টি কেন্দ্রে একযোগে করোনার গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে, মোট ৫৮ হাজার ৫০০ জন টিকা নেন।

শহরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর টিকা পেয়ে মানুষ উচ্ছ্বসিত। অনেকে মানেননি স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব। এর পাশাপাশি অনেকেই অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার।

টিকা নিতে আসা শহরের ফরেস্ট অফিস রোডের বাসিন্দা ফাল্গুনী দেব বলেন, এখানে কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। নারী-পুরুষ দুই লাইনের স্ক্যান করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোন দিয়ে। যেখানে সহজেই পাঁচ-ছয়টা ফোন ব্যবহার করা যেত, লাইনে দাঁড়ানো নিয়েও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে।

একই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা লিমা বেগম বলেন, এটা কেমন সিস্টেম? এখানে যাঁরা দায়িত্বরত, তাঁরা তাঁদের পরিচিত দেখে আগে আগে দিয়ে দিলেন। এমনকি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে নেটওয়ার্কের সমস্যা হয়েছে একাধিকবার। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে টিকা দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সারথি পাল ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালেহ আহমদ পাপ্পু জানান, শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে প্রাযুক্তিক সমস্যা ছিল। পরবর্তীতে এ ধরনের সমস্যা যেন না হয় তা দেখা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন মৌলভীবাজার চৌধুরী জালাল উদ্দীন মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো জেলায় টিকা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দিনে জেলায় ১১৭টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে মোট ২৪৬টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ১০৭টি টিকাকেন্দ্রে একযোগে চলে গণটিকা কার্যক্রম। জেলা সদরের সব কটি টিকাকেন্দ্রে টিকা নিতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। এক লাখ ৩০ হাজার জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এ সময় অনেককে মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি।

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার সদর, লক্ষ্মীপুর, সুরমা, বোগলাবাজার, নরসিংপুর, বাংলাবাজার, দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও ও মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গণটিকা কার্যক্রম চলছে। এর আগের দিন মাইকিং করে প্রত্যেক এলাকায় সাধারণ মানুষকে জানানো হয়।

দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ১১ হাজার টিকা হাতে পেয়েছি। সব টিকা উপজেলার প্রত্যেক টিকাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। টিকা নিতে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকাকেন্দ্রে আসছে।

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি জানান, জগন্নাথপুরে একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে গণটিকা প্রদান কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মধু সুধন ধর বলেন, সকাল থেকে শুরু হওয়া গণটিকাদান কার্যক্রম সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে। উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ১২০০ করে ১০ হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ