রমজান আলী (৫৫) পেশায় দিনমজুর। দুই দফায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধে। দুই বছর আগে পরিবারসহ সেখান থেকেও উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন তিনি।
রমজান আলীর বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের রাজারভিটা এলাকায়। পরিবারসহ তাঁর মাথা গোঁজার জন্য নিজের এক খণ্ড জমি বা ঘর নেই। স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানকে নিয়ে স্থানীয় মাহফুজার রহমানের জায়গায় বাৎসরিক দুই হাজার টাকায় কোনোভাবে খুপরি ঘর তুলে অতিকষ্টে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভিজিডি, রেশন এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর তাঁর পরিবারের জন্য জোটেনি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দিশেহারা হয়ে গেছেন রমজান। কিন্তু কোনোই ফল পাননি তিনি। নিজের দুঃখ কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেন রমজান।
রমজান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জমি ও ঘর পেলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সেখানে জীবনটা পার করতে পারব।
জানা যায়, অভাবের তাড়নায় দিনমজুর রমজানের পক্ষে সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে দিতে হয়েছে কাঠমিস্ত্রির কাজে। বড় মেয়েটি প্রতিবন্ধী। আবেদন করেও এখনো পাননি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড।
স্থানীয় বাসিন্দা মাজেদা বেগম ও আবু বক্কর বলেন, পরিবারটি চুক্তিভিত্তিক অন্যের জমিতে কোনো মতে খুপরি ঘর তুলে বেঁচে আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আবেদন করলে সরকারের পক্ষ থেকে জমি ও ঘর তাঁকে দেওয়া হবে।