পাবনার বেড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক কলেজছাত্রী। বেড়া পৌর এলাকার স্যানালপাড়া মহল্লায় গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া সুস্মিতা খাতুন (১৭) স্যানালপাড়ার জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে বেড়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্র ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুস্মিতার সঙ্গে সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে আশিকের মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি আশিক তার বাবাকে দিয়ে মেয়ের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। সুস্মিতার বাবা সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করে আশিকের বাবাকে ফিরিয়ে দেন। বিষয়টি আশিক ভালোভাবে গ্রহণ না করে ক্ষিপ্ত হন।
গতকাল ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে কলেজমাঠের কাছে সুস্মিতার পথরোধ করে তর্ক শুরু করেন আশিক। একপর্যায়ে তাকে কিল, ঘুষি ও শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করেন আশিক। এতে সুস্মিতা আহত হন।
এরপর সুস্মিতা বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার মাকে জানালে তিনি বকাঝকা করেন। পরে রাগে, দুঃখে, অভিমানে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে আড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সুস্মিতা। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বেড়া মডেল থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
সুস্মিতার বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বখাটে আশিক আমার মেয়েকে মারপিট করায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তারপর অভিমানে আত্মহত্যা করেছে।এ ঘটনায় আমি আশিকের শাস্তি চাই।’
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশিককে আটকের জন্য অভিযান চলছে।