তিতাস উপজেলায় মারামারির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা জামিনে এসে বাদীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রী মামলার বাদী ফজিলাতুন্নেছার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে হামিদ মেম্বারের বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এদিকে সাখাওয়াত হোসেনের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সাখাওয়াত হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি কুমিল্লা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে পাঙ্গাশিয়া পৌঁছালে শুনতে পাই শেখ সাবের বাড়িতে হামলা হয়েছে। এ কারণে বাড়িতে না গিয়ে রাস্তা থেকেই চলে আসি।’
এ ছাড়া অভিযুক্ত করিম মিয়ার বাড়িতে গেলে তাঁর বাবা রুক মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে কয়েক দিন ধরে বাড়িতে নাই। কে বা কারা এমনটি করেছে আমরা জানি না।’
ওই গ্রামের বাসিন্দা হেলাল মিয়া (৪০) বলেন, গত মঙ্গলবার মাগরিব নামাজের পর আগের মারামারি মামলার আসামি হামিদ মেম্বার, করিম, সাখাওয়াতসহ বেশ কয়েকজন জামিনে এসে বাদীর বাড়িতে হামলা করছেন বলে শুনেছি।’
গতকাল বুধবার দুপুরে ফজিলাতুন্নেছা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার মাগরিব নামাজের পর আমি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলাম। এ সময় মামলার আসামি জামিনে আসা হামিদ মেম্বার, সাখাওয়াত, করিম, মুকবুল, আবু সাঈদ ও মোজাম্মেল হকসহ ১৫ থেকে ২০ জন হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার বসত ঘরে হামলা-ভাঙচুর করেন। এ সময় আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাঁরা চলে যান।’
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, বলরামপুর গ্রামে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। শুনেছি, গত মঙ্গলবার রাতে নাকি আবারও বাদীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।