এবারের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন না মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। তাঁর পরিবর্তে মিয়ানমারের কোনো অরাজনৈতিক প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেবে সংগঠনটি। সম্প্রতি আসিয়ানের এমন সিদ্ধান্তের জবাবে গতকাল প্রথমবারের মতো বিবৃতি দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তিনি জানান, জান্তা সরকার দেশটির শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বিরোধীরা সহিংস আচরণ করছে। আসিয়ানের এই দিকে নজর দেওয়া উচিত।
রাষ্ট্রের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জান্তাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের শান্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা আসিয়ানের পাঁচ দফা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু আসিয়ানের বিশেষ দূতের অবস্থান আমার কাছে স্বচ্ছ নয়। তাঁর অনেক দাবিই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি।’
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তপ্ত মিয়ানমার। মূলত সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান এবং গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে আটক করার পর সারা দেশে শুরু হয় বিক্ষোভ। প্রায় প্রতিদিন রাস্তায় ঝরেছে প্রাণ। অস্থির পরিস্থিতির জন্য জান্তা সরকারকে দোষ দেওয়া হলেও মিন অং হ্লাইংয়ের মুখে অন্য সুর। তাঁর দাবি, মিয়ানমারে বেশির ভাগ সংঘাত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উসকানিতে। বিদ্রোহীরা চরম সহিংস হয়ে উঠেছে। তাঁরাই সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’
বন্দীদের মুক্তি
হ্লাইংয়ের ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই কারাগার থেকে ৫ হাজার ৬৩৬ কয়েদিকে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরা সবাই সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের কারণে আটক হয়েছিলেন। চলতি মাসেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। ঘোষণায় বলা হয়, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের কারণে আটক হওয়া এসব বন্দীকে মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়া হবে।