সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চলতি রবি মৌসুমে গমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। আর কয়দিন পরই শুরু হবে গম কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। বাজারে ভালো দাম পেলে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৩৫ হেক্টরে। এবার বারি ৩০,৩১, ৩৩,২৫ ও ২৬ জাতের গম চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ ও বাড়তি পরিচর্যার কারণে এ বছর গমের ফলন বেশ ভালো হয়েছে।
সাধারণত অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে জমিতে গম বীজ বপন করা হয়। ফাল্গুনের শেষে ও চৈত্র মাসের প্রথম দিকে গম কাটা-মাড়াই শুরু হয়। যদিও ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় এরই মধ্যে কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে।
উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের চরহামকুড়িয়া, হামকুড়িয়া, সগুনা ইউনিয়নের নাদো সৈয়দপুর, বিন্নাবাড়ি, বিলনাদো, কুন্দইল, ভেটুয়া, ধাপতেতুলিয়া, নওগা ইউনিয়নের ভাটড়া, সাকইদিঘি, মহিষলুটি, দোবিলা, মালিপাড়া গ্রামের মাঠগুলোতে বোরো ধানের পাশাপাশি গমের ব্যাপক চাষ হয়েছে।
নওগা ইউনিয়নের ভাটড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে জমি চাষ করে গমের বীজ বপন করা হয়। গমের বীজ বপনের পর খুব বেশি সেচ দিতে হয় না। গম চাষে বোরো ধানের তুলনায় খরচও কম হয়।’
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ মণ গমের ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গমের আবাদে বোরোর তুলনায় খরচ কম হওয়ায় চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাজার দর ভালো থাকলে এবার লাভবান হবেন গম চাষিরা।’