হোম > ছাপা সংস্করণ

১৬-তে পা, নিজের যত্নে ভুল নয়

ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন

ত্বক ও চুলের যত্নের আদর্শ সময় বয়ঃসন্ধিকাল। শৈশবে শিশুর ত্বক ও চুলের যত্ন সাধারণত মা বা পরিবারের অন্য় সদস্যরা নিয়ে থাকেন। কিন্তু যখন একজন মানুষ কৈশোরে পদার্পণ করে, তখন সে নিজেকে বুঝতে ও জানতে শুরু করে। এ সময় থেকেই যদি ত্বক ও চুলের যত্ন সঠিকভাবে নেওয়া যায় তাহলে ভবিষ্যতে সেগুলো সুস্থ, সুন্দর ও রোগমুক্ত থাকবে। সবচেয়ে বড় বিষয়, প্রিম্যাচিউর এজিং মানে বয়সের আগেই ত্বক ও চুল বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা, তা এড়ানো যাবে। সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সকেই আমরা বয়ঃসন্ধি বলে থাকি।


এ বয়সে মেকআপ না করাই ভালো। অতিরিক্ত মেকআপ ত্বক নষ্ট করে।

বয়ঃসন্ধিকালে ত্বক ও চুলের যত্নে টিনএজাররা সাধারণত দুই ধরনের ভুল করে থাকে। একটি হলো যত্নে অনীহা; অন্যটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া।

যত্নে অনীহা
ত্বক
টিনএজারদের অনেকে মনে করে, এ সময় ত্বক ও চুলের যত্নের প্রয়োজন নেই। ফলে যত্নের ব্যাপারে উদাসীনতা চলে আসে। সেই সঙ্গে তাদের জীবনযাপনও থাকে অনিয়ন্ত্রিত। সঠিক পুষ্টিকর খাবার না খেয়ে জাঙ্কফুড, ফাস্টফুড বা ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবারে তারা অভ্যস্ত থাকে। তার ওপর আছে ঠিকমতো না খাওয়া, পরিমিত না ঘুমানো ইত্যাদি সমস্য়া। এখন শুরু হয়েছে ডিজিটাল অ্যাডিকশন। এই সবকিছুর প্রভাব তাদের শরীরের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও চুলেও পড়ে।

চুল
জীবনযাপনের একটা প্রভাব তো চুলে পড়েই। এ বয়সের অনেকেই আছে, যারা উদাসীন। চুল যে নিয়ম করে আঁচড়াতে হয়, পরিষ্কার করতে হয়, সুন্দর করে মুছে বাতাসে শুকাতে হয়, সেটিও তারা করে না বা জানে না। ফলে চুল পড়া থেকে শুরু করে মাথার ত্বকে সমস্যা বা উকুন ইত্য়াদির সমস্যায় ভোগে। এ বয়সে চিরুনি ও তোয়ালেও অনেকে একসঙ্গে ব্যবহার করে। ফলে চুলের সমস্যাগুলো থেকেই যায়।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া

প্রয়োজনের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া
ত্বক

বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েরা ত্বকের যত্নে একটু বেশি উৎসাহী থাকে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিত্য়নতুন পণ্য, চলতি মেকআপ ট্রেন্ড সম্পর্কে জানা যায় খুব সহজে। ফলে বিভিন্ন পণ্যের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট হয়ে কিছু না ভেবে কিনে ব্যবহার করছে কিশোর-কিশোরীরা। ব্যবহারের পর দেখা দেয় বিভিন্ন জটিলতা। এই বয়সীদের রং ফরসাকারী ক্রিম কেনা ও ব্যবহারের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এ ধরনের ক্রিমে যেসব উপাদান থাকে, সেগুলোর বিষাক্ত ও রাসায়নিক উপাদান ত্বকের আবরণ পাতলা করে, পিএইচের ভারসাম্য় নষ্ট করে, ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে দেখা দেয় ব্রণ, গজায় অবাঞ্ছিত লোম, ত্বকের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে একেক জায়গায় একেক রং দেখা যায়। যাকে আমরা আন-ইভেন স্কিন টোন বলে থাকি।

কিশোর-কিশোরীরা ত্বকের ধরন না বুঝে পণ্য ব্যবহার করার মতো ভুল করে নিয়মিত। দেখা যায় সঠিক বয়সের আগেই এমন কিছু পণ্য তারা ব্যবহার করেছে, ত্বকের জন্য় যেগুলো ভালো নয়। অনেকের আবার এ বয়সে মেকআপের প্রতিও ঝোঁক থাকে। ফলে তারা মেকআপ বেশি করে। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। চিন্তার বিষয় হলো, মেকআপ করার পর তারা ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে না।

চুল
হেয়ার স্টাইলিংয়ে অনেকেই ব্লো ড্রাইসহ নানাভাবে চুল হিট করতে চায়। কিন্তু বুঝতে হবে, অতিরিক্ত ঠান্ডা ও অতিরিক্ত গরম–দুটোই চুলের টেক্সারের জন্য ক্ষতিকর। অনেকে চুলে রং করে ও রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে। সেটাও চুলের ক্ষতি করে।

সহজ ধাপে চুলের যত্ন
ভুলগুলো এড়িয়ে কয়েকটি সহজ ধাপে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া যায়।

  • ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তবে এ বয়সে হরমোনের তারতম্য়ের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে। এর ফলে ৮৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। ব্রণ দেখা দিলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবকিছুই হবে ওয়াটারবেজড। যেমন যাদের ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের সমস্যা থাকে, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ফেসিয়াল অ্যাসেন্স ব্যবহার করতে পারে।
  • সানস্ক্রিন খুব নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে। 


লেখক: চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ