হোম > ছাপা সংস্করণ

আবহাওয়া বোর্ড চালু হয়নি

হৃদয় হোসেন মুন্না, বেতাগী (বরগুনা)

সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে আবহাওয়া তথ্য বাতায়ন বোর্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও কৃষি বিষয়ে চাষিদের আগাম তথ্য দিতে এ বোর্ড চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য ইউনিয়ন কৃষি অফিসে আধুনিক যন্ত্রপাতি বসিয়ে একজন করে লোকও নিয়োগ দেওয়া হয়।

বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবহাওয়া তথ্য বোর্ড বসানো হয়। কিন্তু দুই বছরেও চালু না হয়নি এ বোর্ড। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের কোনো কাজে আসছে না এ বোর্ড। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে কৃষিকে ঝুঁকিমুক্ত করতে আগাম পূর্বাভাসের সুবিধা পাচ্ছেন না চাষিরা। নষ্ট হচ্ছে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি।

জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে ফসল রক্ষায় চাষিদের আগাম তথ্য দিতে ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতিকরণ’ প্রকল্প চালু করে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বেতাগী উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে বসানো হয় কৃষি আবহাওয়া তথ্য বোর্ড। তবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও এখনো ১টি ইউনিয়নে এ তথ্য বোর্ড বসানো হয়নি।

এ তথ্য বোর্ডের মাধ্যমে খরা, ঝড়–বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, দাবদাহ, শীত, কুয়াশা, বন্যাসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে আগাম তথ্য সেবা পাওয়ার কথা কৃষকের। আবহাওয়া কবে কেমন থাকবে, চলতি ফসলের জন্য তা কতটুকু উপকারী ইত্যাদি বিষয় কৃষকেরা এ তথ্য বোর্ডের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আগাম তথ্যের ভিত্তিতে তারা ফসল রক্ষায় প্রস্তুতি নিতে পারবেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছরেও এ তথ্য বোর্ড চালু না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন চাষিরা।

উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নে গিয়ে কার্যালয়ের সামনে আবহাওয়া তথ্য বোর্ড ও কেন্দ্র দেখা যায়। তবে বোর্ডে নেই কোনো হালনাগাদ তথ্য। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে নষ্ট হতে বসেছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।

একজনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। একই দশা বেতাগী সদর, বিবিচিনি, হোসনাবাদ, বুড়ামজুমদার ও সড়িষামুরি ইউনিয়ন পরিষদের। কৃষি তথ্যসেবা চালু না হওয়ায় এসব ইউনিয়নের কৃষকেরা সুফল পাচ্ছেন না।

মোকামিয়া ইউনিয়নের কাইয়ালকাটা গ্রামের কৃষক মামুন হাওলাদার বলেন, ‘খরা ও অতিবৃষ্টিতে প্রতিবার ফসলের ক্ষতি হয়। মাঠে ফসল রেখে আমরা ঘুমাতে পারি না। আগাম কৃষি তথ্য পাওয়ার খবরে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু দুই বছরেও ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে কিছু পাইনি। অবশ্য সরকারি কাজ–কারবার এমনই। দুর্যোগে ফসলের ক্ষতি হলেও কৃষি বিভাগের কর্মীরা খোঁজ পর্যন্ত নেন না।’

হোসনাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের কৃষক বশির হাওলাদার বলেন, ‘দুই বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদে কৃষকদের আবহাওয়ার তথ্য দেওয়ার জন্য কিছু মেশিনপত্র লাগানো হয়। কিন্তু লাগানোর পর থেকে আজ পর্যন্ত ওই মেশিনপত্র থেকে আমরা কোনো উপকার পাইনি।’

এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তথ্য দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি থাকলেও লোকবল ও প্রশিক্ষণের অভাবে এটি চালু করা যাচ্ছে না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ