কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তথ্য হালনাগাদে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাবিবুর রহমান নামের এক উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে। উপকারভোগীদের দাবি এই উদ্যোক্তা প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০ টাকা নিচ্ছেন।
তথ্য হালনাগাদের জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন বড়ভিটা ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার বড়ভিটা ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারে দেখা গেছে, প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগী অনলাইনে তালিকায় নাম হালনাগাদ করার জন্য এসেছেন। তাঁরা বলেন, ‘তালিকা হালনাগাদ করার জন্য এখানে ৫০ টাকা করে দিতে হয়। আমরাও টাকা নিয়ে এসেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ‘আমরা গরিব অসহায় মানুষ বলেই সরকার আমাদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাওয়ার সুবিধা করে দিয়েছে।
তালিকা হালনাগাদ করতে যদি কোনো খরচ দেওয়া না লাগে তাহলে উনি অবৈধভাবে আমাদের মতো গরিব মানুষের কাছ থেকে কেন টাকা নেবে?’
ইউনিয়নটির পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের সুবিধাভোগী সামছুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কার্ড নিয়ে এখানে এসেছি। ৫০ টাকা দিয়ে অনলাইনে আপডেট করে নিলাম। টাকা ছাড়া তো উনি (উদ্যোক্তা) কাজ করে না।’
ঘোগার কুটি গ্রামের উকিল মিয়া, লালমিয়া, উত্তর বড়ভিটা গ্রামের নজরুল ইসলাম ও বড়লই গ্রামের আজিজার রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে অনলাইন করার খরচ বাবদ ৫০ টাকা করে নিয়েছে।’
তথ্য হালনাগাদ করতে টাকা নেওয়ার বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে ইউডিসির উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সুবিধাভোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো সরকারি নির্দেশনা নেই। আমি প্রত্যেক উপকারভোগীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছি।’ সরকারি নির্দেশনা না থাকার পরেও কেন টাকা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই।’
এ বিষয়ে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, ‘তথ্য হালনাগাদ করার জন্য টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। গরিব মানুষের সহায়তায় জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকে ছোট করে উপকারভোগীদের কাজ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনা অমানবিক। আমি এই কাজের নিন্দা জানাচ্ছি।’