হোম > ছাপা সংস্করণ

স্বীকৃতির লড়াইয়ে তালেবান

রয়টার্স, কাবুল

দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে গত ১৫ আগস্ট পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এর মধ্য দিয়ে মৌলবাদী এই গোষ্ঠীটির জন্য নিজেদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার পথ আরও সুগম হলেও, সাধারণ আফগান নাগরিকদের জন্য তা সুখকর হয়নি। বিদেশি সাহায্যনির্ভর এ দেশটির ক্ষমতা তালেবানের হাতে যাওয়ার পরই সেখানে আরও গভীর হয়েছে সামাজিক ও অর্থনৈতিকসংকট। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশে আটকে থাকা অর্থ-সম্পদ ছাড়ের পাশাপাশি ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে মানবিক সহায়তা চেয়ে আসছেন তালেবান নেতারা। আর এ জন্য তাঁদের কাছে এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়।

ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশ তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চেষ্টার কোনো কমতি রাখছে না তালেবানও। ক্ষমতাধর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে গোষ্ঠীটি।

তবে এবার অনেকটা কড়া সুরেই স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছে, স্বীকৃতি না দেওয়া এবং আফগানিস্তানের বিদেশে থাকা অর্থ আটকে রাখা কেবল তাদের (আফগানিস্তান) নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, আমরা স্বীকৃতি না পেলে আফগানিস্তানের সংকটও অব্যাহত থাকবে। আর এটি আঞ্চলিক সমস্যা যা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের জন্যও সমস্যায় পরিণত হতে পারে।’

দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পর তালেবান মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীটি আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিতে রাজি না হওয়ায় আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী।

আফগান সরকারের স্বীকৃতি দেশটির জনগণের অধিকার উল্লেখ করে মুজাহিদ বলেন, যে সমস্যাগুলো যুদ্ধের কারণ ছিল, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমেও সমাধান করা যেত।

প্রকাশ্যে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা
অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তাঁকে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারে দেখা গেছে। আখুন্দজাদার মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দিয়ে গতকাল রোববার তাঁর জনসম্মুখে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তালেবান।

২০১৬ সালে ইসলামিক মুভমেন্টের প্রধান ধর্মীয় নেতা ছিলেন আখুন্দজাদা। তবে কখনোই তাঁকে খুব একটা প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি। ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরও লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকেছেন আখুন্দজাদা। এর ফলে নতুন তালেবান সরকারে তিনি অবহেলিত হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর গুজবও ওঠে। তবে শনিবার হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কান্দাহারের দারুল উলুম হাকিমাহ মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে তালেবান।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ