নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তালা দিয়েছিলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পরে বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের তালা খুলে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। তবে বসুরহাট পৌর ভবনসংলগ্ন এলাকায় থাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটিতে মেয়র কেন তালা দিয়েছিলেন তা জানা যায়নি।
গত বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দুটি ফটকে তালা দেন মেয়র কাদের মির্জা। পরে একটি ফটকের তালা খুলে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির স্বার্থে খুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল হক মীর জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দুটি ফটকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। পরে প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির স্বার্থে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের তালা খুলে দেওয়া হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রাতেই সাজিয়ে-গুছিয়ে নেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি দপ্তর, উপজেলা পরিষদ, বসুরহাট পৌরসভা, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।
এদিকে বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা অনুষ্ঠান থেকে স্কাউট টিম, বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাকসুদাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আবু নাছের চৌধুরী পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সরিয়ে নেওয়ায় অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. জিয়াউল হক মীর বলেন, রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি চলাকালীন ওই স্থান থেকে স্কাউট, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কে বা কারা সরিয়ে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।