চাঁদা না দেওয়ায় এমভি জাহিদ-৩ লঞ্চের মালিককে মারধর ও লঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে দশমিনা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাজধানীর সদরঘাটে জাহিদ-৮ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেসার্স ওহাব নেভিগেশনের মালিক আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমাকে দশমিনা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন আপ্যায়নের কথা বলে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাঁর এলাকায় চারটি ঘাটে লঞ্চ ভেড়াতে মাসে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও তাঁর নিয়োজিত লোকদের দ্বারা টিকিট কাটার প্রস্তাব দেন। এতে আমি রাজি না হয়ে ওই চারটি ঘাটে লঞ্চ ভেড়ানো বন্ধ করে দিলে গত শুক্রবার তাঁর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার মালিকানাধীন জাহিদ-৩ লঞ্চে হামলা চালায়। হামলায় লঞ্চের মাস্টার আব্দুস সাত্তারের (৭০) পায়ের রগ ছিঁড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া লঞ্চের সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম এবং টিকিট কেরানি জামিলকে বেধড়ক মারধর ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পরে তারা লঞ্চে রক্ষিত ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
এ সময় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শাহ আলম মিয়া এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শ্রমিকদের মারধরের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় এই রুটে চলাচলকারী সব নৌযান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মেহেদি হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।’