মুলাদীতে ফসলি জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় জসিম দর্জি নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম চরপত্তনীভাঙা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জসিম দর্জি পশ্চিম চরপত্তনীভাঙা গ্রামের বাসিন্দা কুট্টি দর্জির ছেলে। পাশের বাড়ির মৃত মহসিন দর্জির ছেলে করিম দর্জি ও মালেক দর্জির নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত, জসিম দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করেন কুট্টি দর্জি।
আহতের বাবা কুট্টি দর্জি জানান, শুক্রবার সকালে করিম দর্জি তাঁর লোকজন নিয়ে এসে তাঁর (কুট্টি দর্জির) ফসলি জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করবেন বলে প্রস্তাব দেন। এ সময় তাঁর ছেলে জসিম দর্জি ফসলি জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে দেবেন না বলে জানান। এতে করিম দর্জি ও তাঁর লোকজন ক্ষিপ্ত হয় এবং তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
বিকেলে আবার করিম দর্জি, মালেক দর্জিসহ ৫–৬ জন লোক ওই জমিতে আসেন এবং রাস্তা নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। ওই সময় জসিম দর্জি তাঁদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দেন তাঁরা।
কুট্টি দর্জি আরও বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলাকারীরা জসিমের মাথায় কুপিয়েছে। যথাসময়ে উদ্ধার করা না হলে তাঁকে হত্যা করা হতো।
পরে জসিম দর্জির ডাকচিৎকারে আত্মীয়-স্বজনেরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় কুট্টি দর্জি মুলাদী থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে করিম দর্জি ও মালেক দর্জির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে আহত জসিম দর্জির জবানবন্দি নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’