১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও পেরিয়ে গেছে ২০ দিন। এরপরও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। গত ২৯ মার্চ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল হক বলেন, ‘তদন্তের সময় আমরা সাংবাদিক, ছাত্রলীগ এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ পর্যন্ত সাতটি মিটিং করেছি। আমরা সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছি। অনেকেই আবার আবেদন করেছে এবং অনেকজনের নাম তুলে ধরেছে।’
আশরাফুল হক আরো বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। সে কারণে বেশি সময় লাগছে। তবে কত দিনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব, সেটি বলতে পারছি না। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আমাদের অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমি মৌখিকভাবে আবেদন করেছি।’
১০ কার্যদিবস হিসেবে তদন্ত প্রতিবেদন গত ১১ এপ্রিল রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দেওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন আমার কাছে জমা দেওয়ার কথা, কিন্তু এখনো হাতে পাইনি।’ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময়ের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো আবেদন পাইনি আমি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হককে সভাপতি ও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ‘আমি যত দূর জানি তাঁদের আরও কয়েকটি মিটিং প্রয়োজন। রোজার মধ্যে হওয়ায় হয়তো কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আমি তদন্ত কমিটির আহ্বায়ককে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য জানিয়ে দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ গাড়ি ভাঙচুরের ভিডিও ধারণ করার সময় ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন বাকৃবি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আবদুল্লাহ ওমর আসিফ। ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করে গত ২৯ মার্চ প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্র। এর আগে গত ২৬ মার্চ লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেন এক ছাত্রী।