তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্নবিত্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতে কষ্টে দিনাতিপাত করছে ছিন্নমূল মানুষ। হাড় কাঁপানো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে তারা। এ ছাড়া শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩-৫ কিলোমিটার, তবে বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নীত হয়। আবহাওয়া পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া বিভাগ।
এদিকে, অতিরিক্ত কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। সে ক্ষেত্রে পাতলা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। এ ছাড়া শীত বেশি হলে শীতকালীন ফসল যেমন আলু, গম, ভুট্টা ইত্যাদির জন্য বেশি উপকারী। তাই এ বছর এসব ফসলের ভালো ফলনের আশা ওই বিভাগের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, ‘বেশি শীত শীতকালীন সবজির জন্য ভালো। তবে, বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। এ জন্য আমরা কৃষকদের বাড়তি সচেতনতা হিসেবে পাতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তা ছাড়া প্রতিদিনই দুপুরে সামান্য রোদ থাকায় তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’