হোম > ছাপা সংস্করণ

তিন টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে টিকিট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি আইন অনুযায়ী বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে রোগীপ্রতি টিকিটের মূল্য তিন টাকা নির্ধারিত হলেও আদায় করা হচ্ছে পাঁচ থেকে দশ টাকা। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে দালাল ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় রোগীদের। দীর্ঘদিন এ অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁর স্বজনদের।

গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বীর সিংজুরী গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন মো. সমসের আলী। লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি বহির্বিভাগের টিকিট কাটেন। টিকিটের মূল্য হিসেবে তাঁর কাছ থেকে দশ টাকা নেওয়া হয়।

উপজেলার গোলাপ নগর গ্রাম থেকে আসা রহিমা বেগম বলেন, ‘আমি কাউন্টারে এসে টিকিট চাইলে দশ টাকা দাবি করেন কাউন্টারে থাকা মো. সফিকুল ইসলাম। তিন টাকার কথা বললে তিনি আমাকে লাইনের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন এবং বলেন, ‘‘বেশি কথা বললে টিকিট দেব না’’।’

বরটিয়া থেকে আসা সখিনা আক্তার বলেন, ‘আমার নিকট থেকে পাঁচ টাকা নেওয়া হয়েছে। দুই টাকা ফেরত চাইলে ভাংতি নেই বলে আমাকে দেয়নি।’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন টিকিট কেটে ডাক্তার দেখান ২ শ জনের ওপরে। সেই হিসেবে গত এক বছরে প্রায় ৬০ হাজার জন রোগী ডাক্তার দেখান। প্রতি রোগী থেকে অতিরিক্ত ২ থেকে ৭ টাকা করে বেশি নিলে কয়েক লাখ টাকা বেশি নিচ্ছেন রোগীদের কাছ থেকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাংতি না থাকার কারণে পাঁচ-দশ টাকা নিয়ে থাকি। এটা সবাই জানেন।’

ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আছমা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সরকারি নির্দেশনা দেওয়া আছে তিন টাকা করে নেওয়ার। বেশি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ