রাজশাহীর বাঘা ও নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে মোট ১ হাজার ৩৩৫ কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাঘা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৮৫৫ কেজি ভেজাল গুড় ও গুড় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়।
গোপন তথ্যর ভিত্তিতে র্যাব-৫-এর কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাঘার আড়ানি ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর কারখানায় ৫৫৫ কেজি ও দুলাল হোসেনের কারখানায় ৩০০ কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ গতকাল সকাল ৯টার দিকে র্যাব-৫-এর সহায়তায় প্রথমে সেকেন্দার আলীর ৩ লাখ টাকা এবং পরে দুলাল হোসেনের ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ভেজাল গুড় ও তৈরির উপকরণ জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট ভেজাল গুড় কারখানার মালিক সেকেন্দার আলীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং ৭০০ কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছিল। এ বিষয়ে হাসান-আল-মারুফ বলেন, অধিক মুনাফা লাভের আশায় বিষাক্ত কেমিক্যাল, চিনি, চুন, ফিটকিরি, হাইড্রোজ ও রং মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করার অপরাধে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক সেকেন্দার আলী ও দুলাল হোসেনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এদিক, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরির অপরাধে নওগাঁর মহাদেবপুরে গতকাল এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় জব্দ করা ৪৮০ কেজি ভেজাল গুড় ঘটনাস্থলে ধ্বংস করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল দুপুরে মোগলিশপুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স জিল্লুর গুড় ভান্ডারে অভিযান চালানো হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাব-৫ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়।
এ ছাড়া সদর উপজেলার গোস্তহাটি ও ঘোষপাড়া এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি সংরক্ষণ এবং খোলা লবণ ব্যবহারের অপরাধে আরও ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এর মধ্যে নওগাঁ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৫০ হাজার টাকা, সাব্বির হোটেলকে ২০ হাজার এবং নিপেন ঘোষের দইঘরকে জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা।