ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরি-মুকরি ও তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। গতকাল সোমবার মহান শহীদ দিবসের ছুটিতে পর্যটকেরা এসেছেন এখানে। এর নোনাপানিতে ধুয়ে ফেলতে চান কর্মব্যস্ত জীবনের সব ক্লান্তি। সঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য খুঁজতে চান প্রশান্তি।
‘পর্যটনের জন্য প্রচারাভিযান’ ভোলা সংগঠন থেকেও ৭০-৭৫ জনের একটি বহর আসে কুকরি-মুকরি ঘুরতে। লালমোহন উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা হাসান হাওলাদার ও খাদিজা শোভা দম্পতি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। একধরনের অবরুদ্ধ জীবনে অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাই মানসিক প্রশান্তি পেতে বাচ্চাসহ কুকরি-মুকরিতে এসেছি। এসে সত্যিই মুগ্ধ হলাম।’
কুকরি-মুকরির মনোরম দৃশ্য দেখতে ভোলা থেকে পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে এসেছেন মাকসুদ উল্লা। তিনি বলেন, ‘কর্মজীবনের ব্যস্ততায় দম ফেলার ফুরসত পাই না। তাই ক্লান্ত মনটা সতেজ করতে এসেছি। শুনেছি এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। সে দৃশ্য উপভোগ করতেই পরিবার নিয়ে এখানে এলাম, দেখলাম। একই জায়গা থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা সত্যিই অকল্পনীয়।’
লিমা রহমান বলেন, ‘ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের উন্নয়নকাজের কারণে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ভোলা থেকে ৩ ঘণ্টার পথ ৫ ঘণ্টায় এসে পৌঁছালাম। তবে এমন মনোরম পরিবেশে আসতে পেরে দুঃখ দূর হয়েছে।’
দর্শনার্থী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের ব্যবস্থা সহজ হলে পর্যটক আরও বাড়বে। আশা করি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দেবে।’
চর কুকরি-মুকরি বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘দেখার মতো ম্যানগ্রোভ বন, গোলপাতা, কেওড়াবাগান রয়েছে। পর্যটকদের জন্য উন্নত মানের রেস্টহাউসও রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক পর্যটক আসেন।’