বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে অনেকেই নতুন করে লেপ-তোশক তৈরি করে নিচ্ছেন। অনেকেই আবার পুরোনো লেপ-তোশক মেরামত করার অর্ডার দিচ্ছেন। এ নিয়ে ব্যস্ততায় দম ফেলার ফুসরত মিলছে না কারিগরদের।
তবে, কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি শীতের মৌসুমে আয়ও বেড়ে যায় এসব কারিগরের। অধীর আগ্রহ নিয়ে বছরের এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা। গত বুধবার দুপুরের দিকে সান্তাহার শহরের স্টেশন রোড সংলগ্ন টিকিট ঘরের পাশের লেপ-তোশকের দোকান ঘুরে কারিগরদের এ ব্যস্ততা দেখা গেছে।
এদিকে, গ্রামীণ নারীরাও বসে নাই। পরিবারের কাজের ফাঁকে পুরোনো কাঁথা মেরামত করছেন তাঁরা। পাশাপাশি ছেঁড়া জামা-কাপড়, লুঙ্গি, শাড়ি দিয়ে তৈরি করছেন নতুন কাঁথা।
লেপ-তোশকের ব্যবসায়ী রোস্তম হোসেন রাশেদ জানায়, শীতের এই সময়টিতে তাদের আয় ভালো হয়। বছরের বাকি সময় অলস সময় পার হয়। তিনি জানান, ভালো মানের লেপ দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মাঝারি মানের লেপ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, ছোট আকারের লেপের দাম পড়ে ৬০০-৮০০ টাকা। একটি বড় সাইজের লেপ তৈরি করতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে। কারিগররা দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পদ্ধতিতে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন।
জামাল হোসেন নামের এক কারিগর বলেন, এখনো পুরোপুরি শীত শুরু না হলেও কাজের চাপ বেড়ে গেছে।
সুমন হোসেন নামের আরেক কারিগর বলেন, শীতের সময়ে একটু বাড়তি আয় হয়। এ দিয়েই চলে সংসারের ভরণ-পোষণ।