মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ীদের পর এবার পাঁচ বাসায় চুরি আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত বুধবার দিনদুপুরে পৌর সদরের ৫ ভাড়াটে বাসায় চুরির ঘটনায় এই আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ছাড়া চোর ধরা না পরায় ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করেছেন ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকেরা। এর আগে মুলাদী বন্দরের কয়েকটি মোবাইল ও মুদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে চুরি আতঙ্ক রয়েছে। তবে পুলিশ ভাড়াটিয়াদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে পরামর্শ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত বুধবার মুলাদীর পাঁচ বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। পাঁচ বাসা থেকে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। দুই দিনেও চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ। পৌর সদরের মধ্যে দিনদুপুরে চুরির ঘটনায় ভাড়াটেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এর আগেও বিভিন্ন বাসায় চুরি হলেও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী বাহাউদ্দীন খান বলেন, ‘কয়েক মাস আগে মুলাদী থানার পূর্ব দিকে অধ্যক্ষ কবির হোসেন খানের বাসায় চুরি হয়েছিল। গত বুধবার আমার বাসায় ঢুকে আলমারি ভেঙে ১২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়েছে।’
বন্দরের মোবাইল ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দীন মোল্লা বলেন, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দোকানের চালা কেটে কয়েক লাখ টাকার মোবাইল চুরি হয়েছিল। কিন্তু চোর শনাক্ত, চোরাই মোবাইল উদ্ধার হয়নি। এর আগে লাবনী টেলিকম ও মধ্য বাজারের রহমত স্টোরে চুরি হয়েছে। সর্বশেষ একই ভাবে টিনের চালা কেটে আইডিয়াল টেলিকমের কয়েক লাখ টাকার মোবাইল ফোন চুরি হয়।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস. এম মাকসুদুর রহমান জানান, আইডিয়াল টেলিকমে চুরির ঘটনায় চোর শনাক্ত এবং চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ৫ বাসায় চুরির ঘটনায় তদন্ত চলছে।