সামুদ্রিক মাছ ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হলেও এ খাতের শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। তাঁদের মাসিক মজুরি মাত্র ৬ হাজার ৭০০ টাকা। এই আয়ে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ক্রিশ্চিয়ান এইড এবং কর্মজীবী নারী পরিচালিত ‘সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প শ্রমিকদের ওপর করা গবেষণা প্রতিবেদনে’ এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনের এ এস মাহমুদ মিলনায়তনে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শিরীন আখতার। তিনি বলেন, সামুদ্রিক খাদ্যশিল্প-শ্রমিকদের জন্য একটা উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম দরকার, যেখানে দাঁড়িয়ে তাঁরা অধিকারের কথা বলতে পারবেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া এবং চীনসহ ৫০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশ সামুদ্রিক মাছ ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে। সি-ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি (এসপিআই) বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। ১৯৮০-এর দশকে এই শিল্পের বিকাশ হলেও শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয় ২০০৯ সালে। সে সময় শ্রমিকেরা ন্যূনতম মাসিক মজুরি ৭ হাজার ৪৫০ টাকা করার দাবি জানিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশ ৭৩ হাজার ১৭১ টন মাছ ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা আয় করে। এর মধ্যে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। কিন্তু এসপিআই কর্মীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই খাতের শ্রমিকদের একটি বড় অংশ নারী। তাঁরা অল্প আয় করেন। ন্যূনতম মজুরি ২০১৫ সালে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৪১৯ টাকা এবং ২০২২ সালে করা হয় ৬ হাজার ৭০০ টাকা।
সভায় বক্তারা বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য খাতের সঙ্গে জড়িত নারীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। তাঁরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হ