হোম > ছাপা সংস্করণ

ঈদ ঘিরে তৎপর প্রশাসন

বরিশাল প্রতিনিধি

এবারের ঈদে বরিশালের উদ্দেশে রাজধানী ছাড়বেন অনেক মানুষ। এ সময়ে লঞ্চ ও বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থায় ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে তৎপরতা শুরু করতে যাচ্ছে বরিশালের প্রশাসন। লঞ্চ ও বাস সার্ভিসে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে এক সমন্বয় সভায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এই নির্দেশ দেন।

গতকালের সভায় লঞ্চ ও বাস মালিক, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে সমন্বয় সভায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম বলেন, ‘লঞ্চ ও বাসের চাপ সামলাতে আমাদের ব্যাপক ব্যবস্থা নিতে হবে। দুই জায়গায়ই এ জন্য কন্ট্রোল রুম থাকছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ঈদের সময় এ নগরের অনেকে বাড়ি চলে যাবেন। ফাঁকা বাড়িতে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য সাবধানে থাকতে হবে।

এডিসি ট্রাফিক শেখ মোহাম্মদ হোসাইন জানান, ২৭ এপ্রিল থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবেন। লঞ্চঘাটের আশপাশে ব্লক করে দেওয়ার পাশাপাশি ওয়ান ওয়ে ব্যবস্থা এবং সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।

সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি নজমুল হোসেন আকাশ বলেন, ঈদে যে লঞ্চগুলো আসে, সেগুলো যেভাবে পাল্লা দেয় তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেও আগুন লেগেছিল লঞ্চে। লঞ্চে আর যাতে আগুন না লাগে, ভিড়ের কারণে যাত্রী দুর্ভোগ না হয়, সেদিকটা নিশ্চিত করবেন লঞ্চমালিকেরা। সিটি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, লঞ্চের আবর্জনা কীর্তনখোলায় ফেলে নদী দূষণ করা হচ্ছে। বাসমালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘সুস্থ ড্রাইভার এবং ভালো গাড়ি যাতে ঈদে থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এর জবাবে সুরভী লঞ্চের মালিক রিয়াজুল কবির বলেন, ঈদের আগের পাঁচ দিন দিনরাতে যাতে নদীতে বাল্কহেড না চলে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় নৌ পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঈদের আগের পাঁচ দিন ও ঈদের পরের পাঁচ দিন নদীতে বাল্কহেড চলবে না।

কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মো. ফেরদৌস বলেন, ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিল অনেক গার্মেন্টস কর্মী আসবেন। যাত্রীসেবার জন্য তাঁরা সুন্দর পরিবেশের ব্যবস্থা করেছেন। মানুষ সুস্থভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন, এমন উদ্যোগ নেবেন তাঁরা। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে এক কোটি লোক বের হবে ঈদে। ঈদে তাঁদের ২৮টি লঞ্চ ডাবল ট্রিপ দেবে।

এ সময় নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, বাস টার্মিনালে যাত্রীসেবায় ১০ সদস্যের টিম কাজ করবে। অতিরিক্ত যাত্রী ও ভাড়া যাতে না নেওয়া হয় সে লক্ষ্যে কাজ করবে। তিনি বলেন, বাস ভাড়া বেশি নিলে কাউন্টার বন্ধ করে দেবেন।

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খান বলেন, লঞ্চঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ট্রলার দিয়ে মাঝপথে যাত্রী ওঠানো চলবে না।

সমন্বয় সভার সভাপতি সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, পায়রা ও পদ্মাকে কেন্দ্র করে নগরে মানুষ বাড়ছে। এ জন্য নগরকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। ঈদে নগরবাসীর দুর্ভোগ রোধে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাত্রী হয়রানি ও দুর্ঘটনা রোধে তিনি সব সেক্টরকে নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ