কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে হলে এখনই দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে কাপ্তাই হ্রদ পরিবেশবান্ধব হ্রদ থাকবে না। এটি হুমকির মুখে পড়বে। এক সময় কাপ্তাই হ্রদের পানি পান করা যেত কিন্তু বর্তমানে এ পানি দিয়ে গোসল করাও দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্রদকে দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত করা না গেলে এ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াবে।
গতকাল শনিবার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ রক্ষার জনসচেতনতামূলক শোভাযাত্রা ও নৌ পথসভায় এসব কথা বলেন রাঙামাটির বিশিষ্টজনেরা। বেসরকারি সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস এ নৌ পথসভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
এ সময় বক্তারা বলেন প্রতিনিয়ত দূষণ আর দখলের কারণে কাপ্তাই হ্রদ হুমকির মুখে পড়েছে। আইন অমান্য করে প্রতিনিয়ত কাপ্তাই হ্রদের পাড় দখল করে অট্টালিকা গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব অট্টালিকার সব বর্জ্য কাপ্তাই হ্রদে ফেলা হচ্ছে। এতে পানি দূষণের পাশাপাশি হ্রদের তলদেশ ভরাট হচ্ছে। হ্রদকে বাঁচাতে হলে এখনই এসব বন্ধ করতে হবে।
নৌ পথ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন। এ সময় তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে হলে প্রশাসনের ওপর চেয়ে না থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কারণ এ হ্রদ শুধু প্রশাসনের নয় এটি বাংলাদেশের। সে জন্য এ হ্রদকে বাঁচাতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। হ্রদে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, হ্রদকে বাঁচাতে হলে মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। কাপ্তাই হ্রদের পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে সে জন্য অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে।
আশিকা ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে নৌ পথসভায় বিশেষ বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, রাঙামাটি সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান, রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র কালায়ন চাকমা, উন্নয়ন কর্মী এম জিসান বখতিয়ার।
শোভাযাত্রাটি পুরোনো বাস স্টেশনের ফিসারী বাঁধ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবারও ফিসারী বাঁধে গিয়ে শেষ হয়।