অন্য আরও চার রাজ্যের পাশাপাশি ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা উত্তর প্রদেশেও (ইউপি) চলছে বিধানসভার ভোট। নতুন সরকার গঠনের জন্য যখন ভোট চলছে, সবার নজর তখন রাজ্যটির মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর। কারণ, ইউপির ক্ষমতা দখলের জন্য ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্মীয় বিভাজনের অভিযোগ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আমলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনা চিহ্নিত করে বিবিসি বলছে, ইউপির সোনভদ্র জেলায় নিজের বাড়ির কাছে একটি ইসলামিক ধর্মীয় কাঠামো ধ্বংস করতে বাধা দেওয়ায় ২০১৯ সালের মার্চে আনোয়ার আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা।
এ ঘটনায় পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করলেও কয়েক মাসের মধ্যে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়। এখনো বিচারের অপেক্ষায় আনোয়ারের পরিবার। সমালোচকেরা বলছেন, অভিযুক্তরা প্রায়শই ক্ষমতাসীনদের সমর্থক হয়ে থাকেন এবং বিজেপি নেতাদের মুসলিমবিরোধী বক্তব্য তাঁদের উৎসাহিত করে।
২০১৫ সালে উত্তর প্রদেশে ৫২ বছর বয়সী এক মুসলিম ব্যক্তিকে বাড়িতে গরুর মাংস সংরক্ষণের অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার পর নীরব ভূমিকার জন্য কঠোরভাবে সমালোচিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এ ছাড়া ২০১৭ সালে মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রায়শই জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেওয়া হিন্দু পুরোহিত যোগী আদিত্যনাথ ইউপির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যটিতে আরও বেড়েছে ঘৃণামূলক নানা অপরাধ।