ফুটপাতে মুখরোচক খাবার বিক্রিতে চলে তাদের সংসার। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ছাত্র–ছাত্রীরাই হলো তাদের প্রধান ক্রেতা। করোনায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় নানান কষ্টে চলছে তাদের সংসার।
এ মাসের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকে ওই সব বিক্রেতাদের মলিনমুখ এখন ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। বিদ্যালয় এলাকার রাস্তার পাশে ভেলপুরি, ফুচকা, আচার, ঝালমুড়ি, বাদাম ও ডাল ভাজাসহ বাহারি সব মুখরোচক খাবার ঠেলাগাড়িতে থরে থরে সাজিয়ে হাসিমুখে আবার রাস্তায় বেরিয়েছেন তারা।
গত রোববার দুপুরে উপজেলা সদরের স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় ভেলপুরি বিক্রেতা কামরুল ইসলামের সঙ্গে। তার বাড়ি উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে। তিনি বলেন, ‘করোনায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কারও কাছে হাতও পাতিনি। আমার ছেলে–মেয়েরা স্কুল কলেজে পড়ে।’
উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের সামনে বিশ বছর ধরে আমড়া ও চালতার আচার বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আগে সকাল থেকে দুপুরের মধ্য পাইলট স্কুলের সামনে বসে ৪০০–৫০০ টাকা বিক্রি করতাম। আজ দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২৮ টাকা বিক্রি হয়েছে।’ তারপরও নুরুল হক আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত আশা শুরু করলেই বেচা–বিক্রি জমে উঠবে।’
উপজেলা সদরের ঝালমুড়ি বিক্রেতা মাধব ব্যাপারী বলেন, ‘করোনায় এখনো ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি নিয়মিত হয়নি। আগের মতো বেচা-বিক্রি হচ্ছে না। হয়তো করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে ছাত্ররা রাস্তার খাবার থেকে একটু এড়িয়ে চলছে।’