মুন্সিগঞ্জে এক নারীকে (৩৬) উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিফাত সরকারকে (২৪) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় আরও ৮-১০ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করা হয়।
গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আহতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিফাত সরকার (২৪), মো. রিফাত (২৩), শাওন শেখ (২৪), নাঈম হাসান (২৪) ও মো. মুন্না (২৫)। আহতদের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিফাত সরকার ও তাঁর সহযোগী ১২-১৪ জন ৭টি মোটরসাইকেলে করে বাংলাবাজার থেকে আসছিলেন। সে সময় এক নারীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে নারীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান তাঁরা। পরে স্থানীয়রা ওই নারীর পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে এবং মারপিট করে আহত করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, সোমবার তাঁরা ঢাকা থেকে চিতলিয়া ঘুরতে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে তাঁর স্বামী, জা ও দেবর ছিলেন। গাড়িটি কিছু দূর এগোলে ১০-১৫ জন তাঁদের গাড়িটির গতিরোধ করে ও তাঁকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করেন ওই নারীর স্বামী। পরে বকুলতলায় স্কুলের সামনে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে স্কুলের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় ওই নারীর স্বামী বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তাঁদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। স্থানীয়রা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন এবং ছাত্রলীগের ছেলেদের মারধর করেন। এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে থানায় যান ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে পুলিশ তখন কোনো অভিযোগ নেয়নি।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ নেতা সিফাত। তিনি বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে।’
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মারপিটের ঘটনায় দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে।