রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের বৈরাগী এলাকার বাসিন্দা মো. শাহ আলম (৪০)। আখ চাষ আর আখের রস বিক্রি করে ভাগ্য বদলে গেছে তাঁর। উপজেলার মাইনীমুখ বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন শনিবারে আখের রস বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করেন শাহ আলম। প্রতি গ্লাস আখের রস বেচেন দশ টাকায়। এতে তাঁর মাসে আয় হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
অথচ গত ৬ বছর আগেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতেন শাহ আলম। অভাব-অনটন ছিল তাঁর পরিবারের নিত্য সঙ্গী। বর্তমানে আখের রস বিক্রির অর্থেন পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।
শাহ আলম জানান, দরিদ্র পরিবারে জন্ম তাঁর। অভাবের কারণে লেখাপড়া করা হয়নি। এক সময় ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেছেন। সেই চাকরির কিছু টাকা জমিয়ে ফিরে আসেন বগাচতর ইউনিয়নের বৈরাগীবাজারে নিজ গ্রামে। নিজের জমিতে শুরু করেন আখ চাষ। প্রথম বছর মোটামুটি লাভ হয়। এরপর চাষের পাশাপাশি যদি আখের রস বিক্রির চিন্তা করেন। ঋণ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ৬০ হাজার টাকায় কিনে নেন রস তৈরির মেশিন। এরপর বিভিন্ন হাট-বাজারে শুরু করে আখ ও আখের রস বিক্রি।
লংগদু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ ইসলাম জানান, লংগদু উপজেলায় আখ চাষ খুব বেশি দিনের নয়। এই উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় আখ চাষ ভালো হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করলে কৃষক ভালো লাভবান হবে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে আখ চাষিদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।