হোম > ছাপা সংস্করণ

ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ময়দান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত হয়নি। গত কয়েক মাসে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসায় ঐতিহ্যবাহী এ প্রাঙ্গণে এবার রোজার ঈদের জামাত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে শুরু হয়েছে প্রস্তুতিপর্ব।

সেই প্রস্তুতির সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে গত সপ্তাহে সেখানে গিয়ে দেখা গেল বিরাট এক কর্মযজ্ঞ। ঈদের জামাতের জন্য এবারও নির্মাণ করা হচ্ছে সুবিশাল প্যান্ডেল। ভেতরে থাকবে আলোকসজ্জা এবং বৈদ্যুতিক পাখা। প্যান্ডেল তৈরির জন্য রোজার এক সপ্তাহ আগে বিপুল পরিমাণ বাঁশ এনে জড়ো করা হয়েছে ঈদগাহ ময়দানে। এখন চলছে গর্ত খোঁড়া এবং বাঁশের খুঁটি বসানোর কাজ। এরই মধ্যে মাঠের মাঝ বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত সবচেয়ে উঁচু বাঁশের খাটালসহ (খুঁটির সারি) মোট চারটি খাটাল বসানো হয়েছে। পুরো মাঠে মোট ১৬টি খাটাল বসবে।

বিশাল স্তূপ থেকে একটি একটি করে বাঁশ বের করে প্যান্ডেলের কাঠামো নির্মাণে ব্যস্ত আরেক কর্মীর দিকে এগিয়ে দিচ্ছিলেন জাকির হোসেন নামে একজন। তিনি জানালেন, প্রতিবছর ঈদের আগে তিনি এই প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ করেন। করোনার কারণে গত দুই বছর জামাত না হওয়ায় কাজও বন্ধ ছিল। দুই বছর পর আবারও পুরোনো কাজে ফিরে ভালো লাগছে বলে জানালেন তিনি।

প্যান্ডেল নির্মাণের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজার আগেই প্যান্ডেল তৈরির সরঞ্জাম ময়দানে নিয়ে আসা হয়েছে। প্যান্ডেলের কাজ শুরু হয়েছে রোজার প্রথম থেকে। জনা পঞ্চাশেক কর্মী নিয়ে চলছে কাজকর্ম। বাঁশের কাঠামো তৈরির পর কাজের চাপ আরও বাড়বে। তখন আরও লোকবল এ কাজে যুক্ত হবে বলে জানান তাঁরা।

শামীম মিয়া নামে একজন কর্মী জানান, বাঁশের সঙ্গে বাঁশ বেঁধে কাঠামো নির্মাণের পর ত্রিপল দিয়ে পর্দা লাগানোর কাজ শুরু হবে। পুরো রোজার মাসজুড়ে এসব কাজ চলবে।

মাঠে যারা কাজ করছিলেন দুই বছর পর ঈদের জামাত হচ্ছে—এ নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেল সবার মাঝেই। বাঁশের খুঁটি লাগানোর কাজ করছিলেন মাসুদ হোসেন নামে একজন। তিনি বললেন, ‘প্রতিবারই এখানে কাজ করি। ডাক পেলেই চলে আসি। ঈদের জামাতের কাজ করতে খুব ভালো লাগে। করোনার কারণে দুই বছর এ কাজ করতে পারিনি। এবার কাজে ফিরে খুব আনন্দ লাগছে।’

প্যান্ডেল নির্মাণের পাশাপাশি ঈদগাহ ময়দানের চারপাশের দেয়ালে রং করার কাজও চলছে পুরোদমে। রংমিস্ত্রি সুজন বললেন, ঈদের জামাত না হওয়ায় গত দুই বছর রঙের কাজও হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানালেন, এবার ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করতে একজন ঠিকাদারের অধীনে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একটি ফেরদৌস অ্যান্ড সন্স। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ফেরদৌস বলেন, ঈদের চার দিন আগেই সব কাজ শেষ করতে হবে। যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, তাঁরা সবাই ভীষণ পরিশ্রম করছেন। প্যান্ডেলের কাজ শেষে ফ্যান, লাইট ও মাইকের কাজ শুরু হবে।

ময়দান প্রস্তুতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদ জামাতকে সামনে রেখে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই সব কাজ শেষ হবে। আমরা চাই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ পড়তে পারেন। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ