দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে টাঙ্গাইলের চারটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার ওই চার ইউপিতে ভোট গ্রহণ হয়। প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে এ চারটি ইউনিয়নের ভোটাররা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তবে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন নারী ও পুরুষ ভোটার। অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলেও দাবি করেন তাঁরা।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে প্রখর রোদের মাঝেই দাঁড়িয়ে আছেন ভোটাররা। ইভিএমে ধীরগতি হওয়ায় ভোটারদের তিন-চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে বলে অভিযোগ আসে।
এদিকে কাতুলি ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নতুন ভোটার হয়েও নিজের ভোটটি দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে রাসেল রানা। রাসেল রানা কাতুলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহরের ছেলে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামানের কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাসেল রানা।
কাতুলি গ্রামের রাসেল রানা বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে ভোটকক্ষে প্রবেশ করি। এরপর পোলিং অফিসার আমার ফিঙ্গার নেন। তবে এরপর গোপন বুথে যাওয়ার আগেই বলা হয়, তোমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা নৌকার লোক। জীবনের প্রথম ভোট ছিল এটি। তা-ও নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে পারলাম না।’
আরিফ নামের অপর ভোটার বলেন, ‘ফিঙ্গার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গোপন বুথে থাকা নৌকার প্রতীকের বহিরাগতরা বাটন চেপে ভোট দিয়ে দিয়েছেন।
শুধু রাসেল বা আরিফ নন এমন অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন নারী ও পুরুষ ভোটার।
জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আর একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
কামরুল হাসান আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ করতে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।