ফরিদগঞ্জ উপজেলার মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক হিতেশ শর্মার বিরুদ্ধে স্কাউট লিডার এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর উপজেলার গাজীপুর মুসলিম উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্কাউটের পি এল কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালনকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিজের কক্ষে ডেকে নেন হিতেশ শর্মা। এ সময় তিনি ওই শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী দৌড়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরের দিন সকালে ঘটনাটি বিদ্যালয়ের স্কাউট টিচার এবং সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিনকে জানায় সে। ঘটনার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার না পেয়ে ওই শিক্ষার্থী স্কাউট সভাপতি মাহাফুজুল হকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।
গাজীপুর মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলাম। হিতেশ শর্মার বিরুদ্ধে এ জাতীয় আরও অভিযোগ শুনেছি।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঘটনাটি আমি শুনেছি।’
উপজেলা স্কাউট লিডার জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘আমি সেই অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলাম। বিষয়টি সমাধানে সে সময় আলোচনা হয়েছে বলে শুনেছি। হিতেশ স্যার দীর্ঘদিন এই ধরনের কাজ করে আসছেন। আমরা কিছু বললে তিনি রেগে যান এবং জেলা কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। তাই আমরা ভয়ে কিছু বলি না।’
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত হিতেশ শর্মা বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি উপজেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। অভিযোগটি ষড়যন্ত্রমূলক।’
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট কমিশনার মেঘনারপাড় মুক্ত স্কাউট কমিটির সভাপতি মাহাফুজুল হক বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে হিতেশ শর্মার বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগটি আসে। আমি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ব্যাপারে ইউএনও এবং উপজেলা স্কাউটের সভাপতি শিউলি হরি বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত কিছুই জানি না। আমি বা আমার শিক্ষা বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে কেউ অবহিত করেনি। বিষয়টি স্পর্শকাতর। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’