মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আলুখেতে পানি জমে গেছে। গাছ বাঁচাতে কৃষকেরা এখন খেত থেকে পানি অপসারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে পারলে আলুর তেমন ক্ষতি হবে না।
গত শুক্রবার দিনভর বৃষ্টিতে উপজেলার বেশির ভাগ আলুখেতে পানি জমে যায়। জমে থাকা পানির কারণে আলুগাছে লেটব্রাইট (মড়ক) রোগের আক্রমণের শঙ্কা রয়েছে।
গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পানি সরানোর দৃশ্য দেখা গেছে। তবে মেঘলা আকাশ দেখে আবারও বৃষ্টির আশঙ্কায় রয়েছেন আলুচাষিরা।
শহীদবাগ ইউনিয়নের গুলশান মোড় গ্রামের চাষি জামাল মিয়া বলেন, এমনিতেই বাজারে আলুর দাম কম। তার ওপর এখন বৃষ্টি। জমিতে পানি জমেছে। আলুর জমিতে পানি জমে থাকলে পচন ধরবে। এতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হবে।
একই গ্রামের আরেক চাষি নূরনবী মিয়া এবার নিজের ও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে প্রায় ২২ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে তার সব আলুখেতে পানি জমে গেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে খেত থেকে পানি অপসারণ করতে না পারলে, এবার তাঁর ব্যাপক ক্ষতি হবে। এখন বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরলে পথে বসতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার হারাগাছ পৌরসভাসহ ছয় ইউনিয়নে এবার ৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে কার্ডিনাল, গ্লান্ডুলার, ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন জাতের আলু আবাদ হয়েছে। আলু রোপণের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় আলুর খেতে পানি জমেছে। তবে কৃষকেরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন। জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করলে এবং বৃষ্টি না হলে তেমন ক্ষতি হবে না।