রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। শেষ মুহূর্তে টাঙ্গাইল ও শেরপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আসছে হাটগুলোতে। সব মিলিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতায় কানায় কানায় পূর্ণ এসব হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে দর-কষাকষি ও বেচাকেনা। তবে মাঝারি আকারের গুরু চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৩৭টি। এ ছাড়া আরও ৫৯টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় কোরবানি ঈদে পশুর চাহিদা ৮১ হাজারের বেশি। প্রস্তুত রয়েছে ৮৭ হাজারের বেশি। চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬ হাজার পশু বেশি রয়েছে। মোট পশুর মধ্যে ষাঁড় রয়েছে ৪৪ হাজার ৮২৭ টি, বলদ ৬ হাজার ৭ টি, গাভি ৮ হাজার ২৪৭ টি, মহিষ ২৩৩টি, ছাগল ২৪ হাজার ১৮২ টি, ভেড়া ৩ হাজার ৫৬৪ টি।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও উত্তর বঙ্গ থেকে অনেক খামারি টাঙ্গাইলের হাটগুলোতে কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন। আর শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের সমাগমে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট।
হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেড়েছে।
উপজেলার কাকুয়া থেকে গরু বিক্রি করতে এসেছেন মো. জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, এ বছর চারটি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায়। প্রত্যাশিত দামে গরু বিক্রি করতে পেরে খুশি তিনি। তবে রুস্তম আলী বেশ হতাশ। তিনি দুটি গরু নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এ বছর গোখাদ্যের দাম অনেক বেশি যে কারণে তাঁর খরচও পড়েছে বেশি। কিন্তু হাটে কেউ তাঁর প্রত্যাশিত দাম বলছে না।
কথা হয় গরু কিনতে আসা পৌর এলাকার কাগমারা এলাকার মাসুদ, আশেকপুর এলাকার রওশন নামের দুজন ক্রেতার সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘এ বছর গুরুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। গত কয়েক দিন হাটে আসলেও ঘুরে চলে গেছি। আজ গরু কিনেই ফিরব।’
এদিকে শেরপুরেও শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার হাটগুলোতে বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। শহরের নওহাটা এলাকার প্রধান পশুর হাট ছাড়িয়ে ক্রেতা বিক্রেতারা ভিড় করছেন শেরপুর-ঝিনাইগাতী আঞ্চলিক মহাসড়কেও। ক্রেতাদের ঝোঁক ছোট ও মাঝারি গরুর দিকেই বেশি।