হোম > ছাপা সংস্করণ

শনাক্তের হারে দুশ্চিন্তা

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান

বান্দরবান জেলার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তারপরও চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ৫০ শতাংশের বেশি হারে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে কমেছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে স্বাস্থ্য বিভাগকে।

এদিকে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় বান্দরবানসহ ১২ জেলাকে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ (রেড জোন) হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারপরও বান্দরবানে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম। জেলার পর্যটনকেন্দ্র থেকে শুরু করে হাটবাজারে মুখে মাস্ক না পরেই মানুষের চলাচল বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই সচেতন না হলে খাগড়াছড়িতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।

গতকাল স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫১ জনের। এ সময় ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৫০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তবে এই সময়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। গতকাল মঙ্গলবার সিভিল সার্জন অংসুই প্রু এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হিসাব ধরা হয়েছে।

এর আগের দিন সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছে ৭৪ জনের। শনাক্তের হার ৫৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। এর আগে গত শুক্রবার জেলায় এই প্রথম ৫০ শতাংশের বেশি করোনা শনাক্ত হয়। এদিন ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ জন। শনাক্তের হার ৫৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর মধ্যে ২৯ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা।

চলতি সপ্তাহের মধ্যে গত শনিবার ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ জন। এদিন শনাক্তের হার ছিল ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া গত রোববার ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ২১ জন। শনাক্তের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলায় নতুন শনাক্ত ৫১ জনের মধ্যে ৩৫ জনই বান্দরবান সদরের। এ ছাড়া লামা ৪, রোয়াংছড়ি ৫, আলীকদম ৩, রুমা ২ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ২ জন। তবে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি। সবাই বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১৩ হাজার ৬৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭১৪ জন। এদের মধ্যে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৬২ জন। এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন ১৪ জন।

সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা জানান, উপসর্গ দেখা দিলে ভয় না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন। এ ছাড়া মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বৃদ্ধি হওয়া দরকার। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। তা না হলে বান্দরবানে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, গতকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৭ জন। জেলার জনসংখ্যা ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৬ জন; টিকা নেওয়ার হার ৫৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এ ছাড়া টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ২৭৮ জন। এটি মোট জনসংখ্যার হিসাবে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। তা ছাড়া এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৭১ জনকে বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ