‘আমার স্বামী রিকশাচালক ছিল। মুগদার মান্ডা এলাকায় পারুল নামের এক মহিলার কাছ থেকে সুদে ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলেও টাকা পরিশোধ করতে পারছিল না। পারুল বারবার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এসব নিয়ে মন খারাপ হলে ১৫ দিন আগে আমি রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসি। গতকাল (মঙ্গলবার) জানলাম, সে আত্মহত্যা করেছে।’
মুগদার মান্ডা থেকে গত মঙ্গলবার মাসুম (৩০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর ওই ব্যক্তির স্ত্রী ময়না বেগম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মাসুমের ছোট ভাই আলমাস হোসেন বলেন, ‘মাসুম ভাই স্ত্রী ময়না বেগম ও এক সন্তান নিয়ে মুগদা মান্ডার মুড়িওয়ালার গলিতে ভাড়া থাকতেন। পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। বাবা হাশেম উদ্দিন মারা গেছেন। বিয়ের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না ভাইয়ের। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে এমন হয়েছে জানি না।’
মুগদা থানার এসআই আলী আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার যেকোনো সময়ে বাসায় আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন মাসুম। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।