হোম > ছাপা সংস্করণ

হরিণ

সম্পাদকীয়

সন্জীদা খাতুন তখন শান্তিনিকেতনে। সুফিয়া কামালের মেয়ে সাঈদা কামাল তাঁর মেয়ে টিয়াকে নিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। প্রশিক্ষণ হবে কলাভবনে। সাঈদা কামাল উঠেছিলেন সন্জীদা খাতুনের ঘরেই। সে ঘরে ছিল দুটো বিছানা। তিনজনের জায়গা হয়ে গিয়েছিল তাতে। সে সময় টিয়াকে স্কুলে দিয়ে সাঈদা কামাল চলে যেতেন নিজের কাজে আর তখন সন্জীদা খাতুন বসতেন তাঁর লেখালেখি নিয়ে। সে সময় ‘ধ্বনি থেকে কবিতা’ বইটি নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি।

এ ঘটনার পর একবার সুফিয়া কামালের আরেক মেয়ে সুলতানা কামাল তাঁর বর আর সুফিয়া কামালকে নিয়ে উঠলেন রতনকুঠিতে। সেখানে সন্জীদা খাতুনের সঙ্গে দেখা হলো তাঁদের। সেই এলাকায় ছিল ‘ডিয়ার পার্ক’। সেখানে সত্যিই হরিণ দেখা যেত। সুফিয়া কামালের ইচ্ছে ছিল হরিণ দেখার। সবাই মিলে হরিণ দেখতে সেই ডিয়ার পার্কে গেলেন তাঁরা। সুফিয়া কামালের তখন বয়স হয়েছে। খুব বেশি হাঁটতে পারেন না। সন্জীদা খাতুন সেটা বুঝলেন। সন্জীদা খাতুনের পায়েও কী এক সমস্যা দেখা দিয়েছিল তখন। তাই একটু হেঁটেই একটি চৌবাচ্চার ধারে গিয়ে বসলেন তাঁরা।

কিছুক্ষণ বসে থাকার পর সুফিয়া কামালকে গান শোনাতে লাগলেন সন্জীদা খাতুন। সুফিয়া কামাল বরাবরই সন্জীদা খাতুনের কণ্ঠে গান শুনতে পছন্দ করতেন। তন্ময় হয়ে গাইছেন সন্জীদা। একটার পর একটা গান গেয়ে চলেছেন। এ সময় হঠাৎ তিনি কাঁধে সুফিয়া কামালের স্পর্শ পেলেন। সন্জীদা খাতুন তাকিয়ে দেখেন, চৌবাচ্চা থেকে নিশ্চিন্তমনে পানি খাচ্ছে একটা হরিণ। কোনো ভয় পাচ্ছে না। সেদিকে তাকিয়ে গান গাওয়া অব্যাহত রাখলেন সন্জীদা। দেখাদেখি আরও একটি হরিণ চলে এল। সুফিয়া কামালের হরিণ দেখার শখ মিটে গেল। গানের সুর হরিণকে আকৃষ্ট করে, তার প্রমাণ এরপর আরও অনেকবার জেনেছেন সন্জীদা খাতুন।

সূত্র: সন্জীদা খাতুন, সহজ কঠিন দ্বন্দ্বে ছন্দে, পৃষ্ঠা ১৬১-১৬২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ