বরগুনায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরোধের জেরে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে রুমে আটকে রাখা হয়। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
গতকাল রোববার সকালে বেতাগী উপজেলার কুমড়াখালী শশী ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ফণি ভূষণ ও বর্তমান সভাপতি জয়ন্তি রাণীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। পূর্বঘোষিত নোটিশ অনুযায়ী, বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় বিদ্যালয়ে যাই। এরপর সাবেক সভাপতি ফণি ভূষণ ও কমিটির সদস্য বিনয় ভূষণ সিংহসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক আমাকে লাঞ্ছিত করে। আমার মোবাইল ফোন নিয়ে রুমে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল করে জানালে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ফণি ভূষণ সিংহ, বিনয় ভূষণ সিংহসহ কাউকেই পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়ন্তি রাণী বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির বিরোধের কারণে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে আমাকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে কাজ করে একটি চক্র। আমি চাই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলুক। এখানে প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী আছে। আমার সভাপতির পদ দরকার নেই, শিক্ষা কার্যক্রমটা চালু থাকা দরকার। শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোনে জানানোর পরে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ-আলম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’