হোম > ছাপা সংস্করণ

সড়কে ট্রাকের মাটি বৃষ্টিতে কাদা

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাকা সড়কে ট্রাক থেকে মাটি পড়ে তা বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় লোকজন। কাদার কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলা দায়। কখনো যানবাহন পিছলে সড়ক থেকে নিচে নেমে যেতে দেখা গেছে।

পৌরসদরের মূল সড়কের এক কিলোমিটার, রেলওয়ে স্টেশন থেকে শ্রীরামপুর সড়কের আধা কিলোমিটার, বিহারপুর থেকে আওয়ালগাড়ি সড়কের দেড় কিলোমিটারে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা শহরের বাইরে থেকে ট্রাকে করে মাটি আনছেন। চলমান সেই ট্রাকগুলো থেকে মাটি পড়ছে সড়কে। রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের রেলগেট পর্যন্ত সড়কে বৃষ্টির পানিতে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে কাদার কারণে অনেক যানবাহন পিছলে নিচে নেমে যেতে দেখা গেছে। একই চিত্র পৌরসদরের মেইন সড়কে। বৃষ্টিতে শহরজুড়ে সড়কের কাদায় একাকার হয়ে গেছে। কাদার কারণে যান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন মোটরসাইকেলচালকেরা। ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন।

মোটরসাইকেলচালক পিন্টু হোসেন বলেন, সকালে রেলস্টেশন থেকে শ্রীরামপুরের দিকে যাওয়ার সড়কটির ওপর এত পরিমাণ কাদা যে, মোটরসাইকেল থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ারও অবস্থা নেই।

শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমার গাড়িতে চড়ে কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক ও তাঁদের গাড়ি নিয়ে শ্রীরামপুরের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের এলাকায় সড়কে কাদার কারণে আমার গাড়ি পিছলে নিচে নেমে যায়। অনেক কষ্টে লোকজনের সহযোগিতায় সেই গাড়ি ওপরে তুলতে পেরেছি। জনগণের দুর্ভোগের চিন্তা এখন আর কেউ করে না। তাই এসব দেখারও কেউ থাকে না।’

হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা রিপন প্রামানিক বলেন, কয়েকদিন ধরে রেল গেট এলাকায় এক ব্যক্তি তাঁর নিচু জমি উঁচু করার জন্য ট্রাকে করে মাটি এনে ফেলছেন। এ সময় রেল ষ্টেশন থেকে শ্রীরামপুর সড়কটি ব্যবহার করা হয়। তখন ট্রাকে করে মাটি আনার সময় কিছু মাটি সড়কের ওপরে পড়ে। গত মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে সেই মাটি কাদায় পরিণত হয়।

আরেক বাসিন্দা রাসেল হোসেন বলেন, ‘পৌর সদরের সড়কটি দিয়ে মাটিবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কে মাটি পড়ে। বৃষ্টির পানিতে সেই মাটি যেন পুরো শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। হেঁটে চলা যায় না। বিষয়টিতে স্থানীয় প্রশাসন নজর না দিলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।’

ভ্যানচালক আবুল মিয়া বলেন, পৌরসদরের প্রধান সড়কের ওপর দুপুর পর্যন্ত কাদার আস্তর থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে।

আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমি লোক দিয়ে কাদা সরানোর ব্যবস্থা করেছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী রকিব হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে কারা মাটি নিয়ে যাচ্ছে, সেটি আমরা জানতে পারছি না। ট্রাকে মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় সেই মাটি সড়কে পড়ছে। বৃষ্টি এলেই সেখানে কাদা হচ্ছে। আসলে মানুষ যদি সচেতন না হয়, তাহলে এটি রোধ করা কঠিন। তারপরও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করব।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ