ডুমুরিয়ার মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কর্মচারী মাহবুব হত্যার দায়ে মিন্টু রহমান নামের এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলার অপর একটি ধারায় আসামিকে এক বছরের সশ্রম করাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ২ মাসের সশ্রম করাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তসনিম জোহরা এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি মিন্টু রহমান পলাতক ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ মামলার নথির বরাত দিয়ে বলেন, মাহবুব তার পৈতৃক জমিতে ঘেরের ব্যবসা করতেন।
ঘেরে থাকা অবস্থায় প্রায়ই কর্মচারীদের সঙ্গে মাদক সেবন করতেন। মাদক ক্রয়ের টাকা ফেরত চাওয়া ও মাদক সেবন করা নিয়ে ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে মাহবুব ও কর্মচারী মিন্টুর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মাহবুব ওই কর্মচারীকে চড় মারে। এর প্রতিশোধ নিতে ওই রাতেই মিন্টু ঘেরের ভেতরে রাখা বটি দিয়ে মাহবুবকে কুপিয়ে জখম করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামি ঘের থেকে পালিয়ে যায়।
পরদিন মাহবুবের স্ত্রী ঘেরে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় দেখে চিৎকার করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনার দুদিন পরে নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলার তদন্তে নেমে ঘেরের কর্মচারী আলমগীর কবির খোকন ও জাহাঙ্গির কবিরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের মাধ্যমে অপর কর্মচারী মিন্টুকে ঝিকরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মিন্টু হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মুখ খুলতে থাকে। আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।