চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের আম ফাউন্ডেশনে বিক্রেতা থাকলেও দেখা নেই ক্রেতার। সারি সারি আমভর্তি ডালি নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বিক্রেতারা। এতে আম নিয়ে হতাশ হয়েছেন তাঁরা।
উপজেলার একমাত্র আম বিক্রির কেন্দ্র আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাট। মৌসুমের প্রতিদিন ভোর থেকে আমের ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম থাকে এই হাট। কিন্তু কয়েক দিন ধরে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে আম ফাউন্ডেশন। সারি সারি আমের ডালি সাজিয়ে রাখলেও বিক্রেতা না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা।
আম ফাউন্ডেশনে গিয়ে কথা হয় বিক্রেতা মো. রবিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতা না থাকায় আম বিক্রি করতে পারছেন না। এর আগে সকাল ১০টার মধ্যে বিক্রি করে চলে যেতেন তিনি। কিন্তু এখন বেলা গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও ক্রেতারা আসছেন না।
আরেকজন আম বিক্রেতা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, তিনি গত সোমবার বাজারে আশ্বিনা আম বিক্রি করেছেন ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ দরে। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় মঙ্গলবার (গতকাল) দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করতে চাইলেও বিক্রি করতে পারেননি তিনি।
আড়তদার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমের চাহিদা না থাকায় মোকাম থেকে ব্যাপারীরা আসছেন না। বাইরে আমের দাম কমে গেছে। ফলে আম কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের সাধারণ সম্পাদক মো. মুনসুর আলী আজকের পত্রিকাকে জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারীরা না আসায় আম বিক্রি হচ্ছে না। আম বেচাকেনাসহ বিভিন্ন কাজে শত শত শ্রমিকের কাজও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা।